আরোপিত বিধিনিষেধে লোক চলাচল নিয়ন্ত্রিত করায় কমেছে জনসমাগম। এর প্রভাব পড়েছে শহরের রেস্তোরাঁগুলোতে, তাই রমজানে ইফতারি আয়োজনের ক্ষেত্রে তেমন কোন উৎসাহ নেই তাদের। স্বাভাবিক সময়ের রমজানে ইফতারের যে বিশেষ আয়োজন থাকে রেস্তোরাঁ ও অস্থায়ী ইফতারের দোকানগুলোতে তার ছিটে ফোটাও চোখে পড়েনি এবার।
রমজানের প্রথম দিনে ঢাকার ধানমন্ডি, শাহবাগ ও বাংলা মোটরের মতো জায়গাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সীমিত পরিসরে যেসব রেস্তোরাঁ খোলা রয়েছে সেগুলোতে ছোলা, পিঁয়াজু, বুন্দিয়ার মতো পরিচিত কিছু ইফতার সামগ্রী প্রস্তুত করছেন কারিগরেরা।
ধানমন্ডি ডায়মন্ড হোটেল এ্যান্ড রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক জামাল আহমেদ বলেন, এবার ইফতারের জন্য খুবই অল্প কিছু আইটেম রেখেছি আমরা। কারণ এই অবস্থায় লোকজন বাইরে বের হতে পারবে কী-না? করোনা বিবেচনায় রেখে বাইরের খাবার খাবে কী-না এমন একটা অবকাস তৈরি হয়েছে। তাই ইফতারে বেশি ও ব্যতিক্রম আইটেম রাখাটা ব্যবসায়ীক ঝুঁকি মনে হয়েছে। প্রথম দিনটা দেখি, পরিস্থিতি ভালো মনে হলে আগামীকাল থেকে পূর্ণদমে ইফতারের আইটেম রাখব।
বাংলামোটর এলাকায় চাঁদনি হোটেলের কারিগর আব্দুস সোবাহান বলেন, লকডাউনের কারণে অফিস বন্ধ, নানা সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের ইফতার পার্টি বন্ধ। তাই অর্ডারের ইফতার সামগ্রী বানানোর কাজ নেই এবার। মূলত একারণেই দোকানগুলোতে পরিচিত সাধারণ ইফতার সামগ্রীই তৈরি করছে সবাই।
একই হোটেলের সিনিয়র স্টাফ আব্দুল বাতেন বলেন, আজকে যে আইটেম বানানো হয়েছে এগুলোই বিক্রি হবে কী-না সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছে মালিক।কারণ ঢাকায় তো মানুষই নাই, সব বাড়িতে চলে গেছে। যারা আছে তারা বের হতে পারবে বলে মনে হয় না।
এসব এলাকায় এবার অস্থায়ী মৌসুমী ইফতারের দোকানও দেখা যায়নি। চোখে পড়েনি বড় বড় রেস্তোরাঁগুলোর সামনে আলাদা সামিয়ানা টাঙিয়ে ইফতারের দোকান প্রস্তুত করতে। বেশ কিছু মুদি দোকানের সামনে শুধু আলাদা করে মুড়ি বিক্রি করতে দেখা গেছে যা অন্যান্য স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। দেখা মেলেনি আলাদা করে বরফ বিক্রেতাদেরও।