কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-28 14:31:10

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার কান্দি, কৈকুড়ী, তাম্বুলপুর ইউনিয়নসহ অনেক এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের ক্ষতি হয়। শেষ মুহূর্তে পাকা বিআর-২৮ ধান কেটে ঘরে তোলার প্রস্তুতি চলছিলো। কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে ধান ঝড়ে যাওয়ায় চরম বিপদে পড়তে যাচ্ছেন কয়েক হাজার কৃষক।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। শুরুতে টানা ১৫ থেকে ২০ মিনিট শিলাবৃষ্টির পর কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়।

এতে মাঠের আধা-পাকা ধান ঝড়ে যায়। একই সাথে আম ও লিচুসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। শিলাবৃষ্টিতে বেশ কিছু এলাকার কয়েক হাজার হেক্টর জমির আধা পাকা ধান মাটিতে লুটে পড়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, এমনিতেই কয়েক বছর ধরে নানা কারণে ধান আবাদে লোকসান লেগেই আছে। এর মধ্যে শিলাবৃষ্টিতে যে ক্ষতি হলো তা হয়তো আর পোষানো সম্ভব হবে না। শিলাবৃষ্টির কারণে তার প্রায় ২ থেকে আড়াই বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এখন সেই জমিগুলোতে বিঘাপ্রতি আনুমানিক ৪-৫ মণ হারে ধান হতে পারে।

একই গ্রামের মহাব্বত মিয়া জানান, তিনি প্রায় ৩ বিঘা জমিতে বিআর-২৮ ধান রোপন করেছিলেন। শিলা বর্ষণে বেশিভাগ ধান ঝরে পড়ে গেছে। বিঘা প্রতি হয়তো দুই থেকে তিন মণ করে ধান পাওয়া যাবে।

কাবিলা পাড়া গ্রামের বাবু মিয়া বলেন, পাকা ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। তবে যে দু/চার বিঘা জমির ধান কিছুটা কাঁচা রয়েছে সেসব জমিতে হয়তো কিছু ধান পাওয়া যাবে। এছাড়া বিঘা প্রতি দেড়/দুই মণ করে ধান পাওয়া যেতে পারে।

পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান বলেন, শিলাবৃষ্টিতে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণের কাজ চলছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর