নিম্ন আয়ের ৩৫ লাখ পরিবার পাবে আড়াই হাজার করে টাকা: কাদের

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 23:43:57

লকডাউনের কারণে কর্মহীন অসহায়, খেটে খাওয়া মানুষ এবং ছিন্নমূল, ভাসমান মানুষদের সহায়তায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমাজের সামর্থবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২১ এপ্রিল) সকালে খুলনা সড়ক জোন বিআরটিসি, বিআরটিএ'র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

এ সময়। দুর্যোগ, সংকটে লিপ সার্ভিস না দিয়ে বিএনপিকে জনমানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।

বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের কাছে ফিরে আসার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন জনকল্যাণের রাজনীতিই বেশি প্রয়োজন। এদেশের রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বিএনপি ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র। রাষ্ট্রের প্রতিটি অর্জনকে তারা অপপ্রচার আর অন্ধ সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে। তাদের রাজনীতি নেতিবাচক ধারা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতায় পুষ্ট।

দেশ ও সমাজের গৌরবের দিনগুলো তারা বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করেছে জানিয়ে কাদের বলেন, জনগণের সমর্থন না পেয়ে ক্ষমতায় যেতে খোঁজেন অন্ধকারের চোরাগলি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনে করেন, জাতির সোনালী অর্জনগুলোকে কালিমালিপ্ত করে তারা পরাজিত পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশের রাজনীতিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়,- যা এখন আর সম্ভব নয়, জনগণও তা আর হতে দেবে না।

ওবায়দুল কাদের আরও জানান, এছাড়াও সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবার পাবে ৫ হাজার টাকা করে। এ জন্য সরকারের ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

যশোর- খুলনা মহাসড়কের নোয়াপাড়া থেকে যশোরের দিকে যেতে প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক খুবই ক্ষতিগ্রস্ত, তাই জরুরি ভিত্তিতে  মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী।

খুলনা-মংলা সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ মংলা পোর্টের কারণে এ সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা খুবই জরুরি বিধায় ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের  নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী প্রকৌশলীদের উদ্দেশে বলেন, বর্ষার সময় হাত গুটিয়ে বসে না থেকে চলমান কাজের তদারকির পাশাপাশি নতুন কাজসমূহের টেন্ডার আহবানসহ প্রয়োজনীয় কাজ এগিয়ে নিতে হবে, যাতে বর্ষার পর পরই কাজ শুরু করা যায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর