ওয়াসা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 15:11:23


সবার আগে হবে সল্টগোলা থেকে সিমেন্ট ক্রসিং


চলতি বছরেই শুরু হতে যাচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। চট্টগ্রাম মহানগরীর ওয়াসা মোড় থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় চূড়ান্ত। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজ পেতে যাচ্ছে ম্যাক্স র‌্যানকিন জেভি। এ প্রকল্পে সবার আগে কাজ শুরু হবে সল্টগোলা থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত এলাকায়। যানজটকে প্রাধান্য দিয়ে এই অংশটি নির্ধারণ করা হয়েছে।

এবিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, মন্ত্রণালয় ও সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদন পেলেই সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হবে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হলে সবার আগে কোন অংশে কাজ শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সল্টগোলা থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত এলাকায় সবচেয়ে বেশি যানজট থাকে। তাই এই অংশে সবার আগে নির্মাণ কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করছি।’

সিডিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই প্রকল্পে টানা নির্মাণ কাজ হবে না। খণ্ড খণ্ড করে নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। অন্যথায় পুরো শহরে যানজট তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। যানজটের তীব্রতা কমাতে সাগর পাড়ের আউটার রিং রোডকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। বিকল্প রোড হিসেবে যাতে মানুষ সেই রোডটি ব্যবহার করে সেজন্য ইতিমধ্যে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশ পিচঢালাই হয়ে গেছে। হালিশহর আনন্দ বাজার থেকে বিমান বন্দর পর্যন্ত অংশটি শেষ করার জন্য তোড়জোর চলছে সিডিএ’র।

এবিষয়ে সাগর পাড়ের আউটার রিং রোড প্রকল্পের পরিচালক ও সিডিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন,‘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হলে বিমানবন্দরমুখী গাড়ির যানজট বাড়তে পারে। তাই বিকল্প হিসেবে সাগর পাড়ের এই রোডটি প্রস্তুত রাখার জন্য তৈরি করা হচ্ছে।

এদিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ পেতে দরপত্রে মোট ১০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল, এরমধ্যে কারিগড়ি বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয় ছয়টি প্রতিষ্ঠান। এই ছয়টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মনোনীত হয় ম্যাক্স। ম্যাক্স ২ হাজার ৮ ৫৪ কোটি ৫৬ লাখ ১২ হাজার ১১৩ টাকা দর দিয়েছিল। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দর ছিল চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির ৩ হাজার ৩৯ কোটি ৩৯ লাখ ১৫ হাজার ৭২৭ টাকা। গত ১ অক্টোবর ফিনান্সিয়াল খাম খুলার পর এই দর প্রকাশিত হয়।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় ফ্লাইওভারের সাথে যুক্ত হবে সাগর পাড়ের আউটার রিং রোডটি। আর তা ব্যবহার করে কক্সবাজারমুখী গাড়িগুলো সহজেই কর্ণফুলী তলদেশে নির্মাণ হতে যাওয়া টানেল দিয়ে চলে যেতে পারবে। এতে নগরীতে যানজটের মাত্রা কমে আসবে। 

উল্লেখ্য, লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত চার লেনের ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার প্রকল্পটি গত বছরের ১১ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়। প্রকল্পের আওতায় লালখান বাজার থেকে বিমান বন্দর পর্যন্ত ৯টি পয়েন্টে ২৪টি র‌্যাম নামবে। টাইগারপাস মোড় থেকে নিউমার্কেটের দিকে উঠা নামার সুযোগ থাকবে, আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ে উঠা নামার, বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে স্ট্র্যান্ড রোডে যাওয়া ও আসার, নিমতল বিশ্বরোড মোড় থেকে পোর্ট কানেকটিং রোডে উঠা-নামার, কাস্টমস মোড়ে উঠা-নামার, চিটাগাং ইপিজেড মোড়ে উঠা নামার, কর্ণফুলী ইপিজেড মোড়ে উঠা-নামার, কাঠগড় মোড়ে উঠা-নামার, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত মোড়ে উঠা-নামার এবং সর্বশেষ বিমান বন্দরে উঠা নামার সুযোগ থাকছে এই ফ্লাইওভারের।

এ সম্পর্কিত আরও খবর