কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) খায়রুল বাশার সুমন (৩৫) নামে একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। সুমন কুমিল্লা ইপিজেডের একটি বিদেশি কোম্পানিতে সিনিয়র এইচআর পদে কর্মরত ছিলেন।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৫ টার দিকে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে টমছমব্রিজ-বাখরাবাদ সড়কে ইপিজেডের এক নম্বর গেট এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়। নিহত সুমন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের মান্দারি গ্রামের আবদুল মমিনের ছেলে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই কোম্পানি থেকে চাকরিচ্যুত একজন কর্মচারি ক্ষোভের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা ইপিজেডের সিংসাং সু কোম্পানির এইচআর সুমন অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলেন। ইপিজেডের এক নম্বর গেট এলাকায় চাকরিচ্যুত ওই কর্মচারি প্রথমে তার গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে চাকরিচ্যুত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই কর্মচারি সুমনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমর কৃষ্ণ ধর বলেন, চাকরিচ্যুত এক কর্মচারি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। ছুরিকাঘাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। তবে আমরা এখনো হত্যাকারীর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারিনি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে খুনিকে আটক করতে পারবো।