ঈদের শপিংয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীন ক্রেতারা 

, জাতীয়

কল্লোল রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম | 2023-08-24 04:09:25

দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে কয়েকদফা লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়েছে সরকার। পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দোকানপাট ও শপিং মল খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হলেও বাস্তবে তার কোন প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।

কুড়িগ্রামের অন্যতম উপজেলা শহর উলিপুরে প্রায় দুই শতাধিক কাপড়ের দোকান রয়েছে। শপিংমল গুলো ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক ব্যবহার করলেও প্রায় বেশিরভাগ ক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে মার্কেট গুলোতে ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিদিন। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও মানাতে এক রকম উদাসীন ব্যবসায়ীরাও।

উলিপুর বাজারের এক শপিং মলের কাপড়ের দোকান ব্যবসায়ী সাগর বলেন, দোকান সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও ইফতারের পর ক্রেতা থাকেনা। দুপুরের পর থেকে ইফতারের পূর্বে ভিড় থাকে যা দিনদিন বাড়ছে। ক্রেতাদের অনেকে মাস্ক ব্যবহার করেন না স্বীকার করে তিনি বলেল, সেক্ষেত্রে আমাদের তেমন কিছু করার থাকেনা। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ভূমিকা নিরব বলে জানান একাধিক ব্যবসায়ী।

ঈদের শপিং করতে আসা ক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই।

চিলমারীর ফকিরেরহাট এলাকা থেকে পরিবারকে নিয়ে ঈদের শপিং করতে এসেছেন আশাদুল ইসলাম। করোনাকালে ২ বছরের শিশুকে কোলে নিয়ে মার্কেট আসলেও তাদের চার জনের কারও মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। তবে, করোনার ভয়াবহতা স্বীকার করে মাস্ক ব্যবহার জরুরি ছিলো বলে স্বীকার করেন তিনি।

উলিপুরের চরুয়াপাড়া থেকে পরিবারের একাধিক সদস্যদের নিয়ে মাস্ক ছাড়াই মার্কেটে এসেছেন আরেক নারী। তার কোলেও দেড় বছরের শিশু। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই আবারও মার্কেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকায় অনেকটা তাড়াহুড়ো করে ঈদের মার্কেট সেরে নিচ্ছেন বলে জানালেন তিনি।
এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার বলেন, করোনা এখনো বাংলাদেশ স্বাভাবিক অবস্থায় আসেনি। সরকার শপিংমল খুলে দিয়েছে তার মানে এই নয় যে স্বাস্থ্যবিধি ক্রেতারা মানবেন না। এক্ষেত্রে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের উভয়েরই সহোযোগিতা প্রয়োজন। করোনা কালে মার্কেটে না এসে অনলাইনে পণ্য কেনার পরামর্শ তার।

উলিপুরের শপিং মল গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কি কি উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন,আমরা প্রতিদিন মাঠে কাজ করছি। জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। করোনা থেকে বাঁচতে জনগনকে প্রশাসনের নির্দেশনা মানার পরামর্শও দিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, কুড়িগ্রামে এ পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১৫২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১হাজার ৫১ জন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর