স্পিডবোটের বেপরোয়া গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-28 12:15:52

মাদারীপুরের শিবচরে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় স্পিডবোটের সাথে নোঙর করা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার একমাত্র প্রধান কারণই স্পিডবোটের বেপরোয়া গতি। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত শিশু, নারীসহ ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। ইতোমধ্যে এ ঘটনা তদন্তে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্পিডবোটের বেপরোয়া গতির কারণেই বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। 

এদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, উদ্ধার কর্মী ও‌ স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো নিয়ন্ত্রণ হীন স্পিডবোটের বেপরোয়া গতি।

সোমবার (৩ মে) সকাল ৬ টার দিকে স্পিডবোটটি কাঁঠালবাড়ীর পুরাতন ঘাটে থেমে থাকা বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডে সরাসরি ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায়। স্পিডবোটটে থাকা সবাই পানিতে ডুবে যায় পরে উদ্ধার কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং ১ জন স্থানীয় হাসপাতালে মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শী শামছুল হক ‌বলেন, ভোরবেলা আমরা ঘাট পাড়ের একটু দূরে বসে আছি এরমধ্যে একটি স্পিডবোট জোরে এসে পাড়ে ভিড়ায় রাখা বালু বোঝাই ট্রলারে সাথে ধাক্কা লাগে। ধাক্কা লাগার পর স্পিডবোট ভেঙে পানিতে ডুবে যায়। কয়েক বছর আগে এই ঘাটেই পিনাক ৬ একটি লঞ্চ ডুবে গেছিলো।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন বলেন, শিমুলিয়া থেকে সকালে স্পিডবোটটি ছেড়ে আসে। এ সময় কাঁঠালবাড়ীর পুরাতন ঘাটে থেমে থাকা বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডে ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায় স্পিডবোটটি। পরে নদী থেকে একে একে ২৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়। ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে আরও একজন মরা যায়।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, স্পিডবোটটির বেপরোয়া গতির কারণে ঘাটের কাছে এসে আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। এ সময় ঘাটে নোঙর করে রাখা একটি বালি পরিবহনের বাল্কহেডের উপর আছড়ে পড়ে। মূলত দ্রুত গতির কারণেই এত বেশি হতাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের দোতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিহতের স্বজনেরা সেখানে এসে লাশ শনাক্ত করে নিয়ে যাচ্ছে।

এ দুর্ঘটনায় মাদারীপুরের জেলা প্রশাসন থেকে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর