হাতীবান্ধায় অসুস্থ শ্যালককে দেখতে যাওয়ায় মারধর

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট | 2023-08-26 01:51:49

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ ছোট শ্যালককে দেখতে যাওয়ায় বোন জামাই ও ভাগিনাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বড় শ্যালক আবু তালেবের বিরুদ্ধে। আহত বাবা-ছেলে বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

রবিবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার নিজ গড্ডিমারী গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটেছে।

এ ঘটনায় রোববার (২ মে) রাতে বোন জামাই সুমার আলী বাদী হয়ে বড় শ্যালক আবু তালেবকে প্রধান আসামী করে আরও ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, হাতীবান্ধা উপজেলার নিজ গড্ডিমারী গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের মৃত হারুন আর রশীদের ছেলে আবু তালেব(৫০), আবু তালেবের ভাই ছাইদুল(৩৭) আবু তালেবের ছেলে বাবুল(২৭), মুকুল(২৫), মমিন(২৩) আবু তালেবের স্ত্রী খাদিজা(৪৫) এবং ছাইদুলের স্ত্রী পারুল বেগম(৩৩)।

জানা যায়, পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে আবু তালেব ও তার ছোট ভাই আবুল হোসেনের মাঝে দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। সেই কলহের জেড়ে গত ১ মে আবু তালেব ও আবুল হোসেনের ঝগড়া লাগে। এ সময় আবু তালেব ও তার ছেলেরা মিলে আবুল হোসেনকে মারধর করে। পরে আবুল হোসেনকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। তাই ২ মে বিকেলে ছোট শ্যালক আবুল হোসেনকে দেখতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় বোন জামাই সুমার আলী ও তার ছেলে। এ সময় আবু তালেব, অপর এক ভাই ছাইদুল ও তাদের সন্তানরা সুমার আলীর পথ রোধ করে জানতে চায় তারা কোথায় যাচ্ছে। এ সময় সুমার আলী আবুল হোসেনকে দেখতে যাওয়ার কথা বলতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সুমার আলী ও তার ছেলেকে বাশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে সুমার আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুমার আলীর বড় শ্যালক আবু তালেব বলেন, বাবার রেখে যাওয়া জমি নিয়ে আমার সাথে ছোট ভাইয়ের দন্ধ। সুমার ছোট ভাই আবুলের পক্ষে কাজ করছে। সুমার ও তার ছেলেকে কোন মারধর করা হয়নি। যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা মিথ্যা।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে গিয়ে আহত সুমার আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তাদের ভাইয়ে ভাইয়ে দন্ধ। ছোট শ্যালক হাসপাতালে ভর্তি। তাই তাকে আমি দেখতে যাইতেছিলাম। এতে বড় শ্যালক আবু তালেব ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের মারধর করেন।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর