মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের ধাক্কায় নিহত ২৬ জনের পরিচয় মিলেছে। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও বরিশাল জেলার ৯ জন রয়েছেন। নিহতদের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে বলে জানান পরিবার ও স্বজনরা।
বরিশালে বিভাগের নিতরা হলেন, ভেদুরিয়া এলাকার মো. আলী আহমেদের ছেলে আনোয়ার চৌকিদার (৫০), বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার হাশেম ব্যাপারীর ছেলে আলাউদ্দিন ব্যাপারী (৪৫), মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আশা এলাকার রত্তু হোসেনের ছেলে সাইদুল হোসেন (২৭), একই উপজেলার পূর্বষট্টি এলাকার সাদেক ব্যাপারীর ছেলে রিয়াজ হোসেন (৩৩) সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও উপজেলার পাতারহাট বন্দরের মনির হোসেন চাপরাসি (৩৫), ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রাজাবাড়িয়া এলাকার মৃত আবদুল কুদ্দুস শিকদারের ছেলে নাসিরউদ্দিন (৪৫), পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলার চরখানা এলাকার মো. ওহিদুরের ছেলে বাপ্পী (২৮) এবং পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পসারিয়াবুনিয়া এলাকার রঞ্জন অধিকারীর ছেলে জনি অধিকারী (২৬)।
নিহত নলছিটির নাসিরউদ্দিন শিকদারের ভাগ্নে তানভির জানান, মামার মৃত্যুর খবর শুনে সবাই ভেঙে পড়েছি। মামা বাড়িতে শোকে মাতম চলছে। মামার অকাল মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না।
নিহতদের শনাক্তের বিষয়টি বার্তা২৪.কম কে নিশ্চিত করে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, দুর্ঘটনায় নিহত সকলের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।
এরআগে গতকাল তিনি দুর্ঘটনা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। যারা দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হবে বলেও ঐ সময় জানান তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় সোমবার (৩ মে) দুপুরে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামকে আহবায়ক করে ছয় সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ মঙ্গলবার ( ৪ মে) কাঁঠালবাড়ী নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই লোকমান হোসেন বাদি হয়ে বোটের চালক শাহালম, মালিক চান্দু ও রেজাউল এবং স্পিডবোট ঘাটের ইজারাদার শাহ আলম খানসহ আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে শিবচর থানায়।