২১ আগস্ট: আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা

ঢাকা, জাতীয়

শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপেন্ডন্ট | 2023-08-26 23:45:07

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন বিরোধী দলীয় নেত্রী ৷ ঐ দিন বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয় ৷ তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও ওই হামলায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হয়৷ আহত হয় প্রায় চার শতাধিক মানুষ৷

এ ঘটনায় দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর, ১০ অক্টোবর মামলার রায় ঘোষণা করবেন আদালত।

তদন্ত সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় পরদিন মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন থানার এসআই শহীদ ফারুক আহমেদ। শুরু থেকেই তদন্তের গতি ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল তৎকালীন সরকার।

২২ আগস্ট বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনকে চেয়ারম্যান করে এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল জোট সরকার। সেই কমিশনও জোট সরকারের অপপ্রচারের পথ ধরেই চলেছিল।

ঘটনার ১০ মাসের মাথায় ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীরকোট গ্রামের বাড়ি থেকে জজ মিয়া নামের এক যুবককে আটক করে, জজমিয়া নাটক সাজায়। ২০০৬ সালের আগস্টে এই নাটকের পেছনের ঘটনা ফাঁস করে দেন জজ মিয়ার মা জোবেদা খাতুন।

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন করে তদন্তের উদ্যোগ নেয়। এতে বেরিয়ে আসে, বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর সহযোগিতায় গোপন জঙ্গি সংগঠন হুজি-বি জঙ্গিরা শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে ওই হামলা চালিয়েছিল। তদন্ত শেষে সিআইডির তখনকার এএসপি ফজলুল কবীর ২০০৮ সালের ১১ জুন হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আদালতে দুটি অভিযোগপত্র জমা দেন। তাতে ২২ জনকে আসামি করা হয়।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সিআইডি এ মামলার অধিকতর তদন্ত করে এবং ২০১১ সালের ৩ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। তাতে তারেক রহমানসহ আরো ৩০ জনকে আসামি করা হয়। ১৮ মার্চ ২০১২ সালে বিচার শুরু হওয়া এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি হয় ২৩ অক্টোবর ২০১৭ সালে। যুক্তিতর্ক শেষ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮।

সবকিছু মিলে ১৪ বছর লেগে গেছে এ মামলার আইনি প্রক্রিয়া। এখন পর্যন্ত মামলায় কারাগারে আছেন ২৩ জন, জামিন বাতিল হয়েছে ৮ জনের, পলাতক আছেন ১৮ জন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর