মহামারি করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।যা গত ৫ সপ্তাহের সর্বনিম্ন। এ নিয়ে দেশে করোনায় প্রাণ হারালেন মোট ১১ হাজার ৮৩৩ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী ভাইরাসটি ধরা পড়েছে ১ হাজার ৬৮২ জনের শরীরে।
শুক্রবার (৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মে) দেশে ১ হাজার ৮২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর মৃত্যু হয়েছিল ৪১ জনের।
এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১১ হাজার ৮৩৩ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ লাখ ৭০ হাজার ৮৪২ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৭৮ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৪১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ১৩টি। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৮২ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
উল্লেখ্য,২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই মহামারিকালে গত বছরের ডিসেম্বেরের শেষ দিক থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাস দুয়েক পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল।
গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। মার্চ থেকে শুরু হয় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। মার্চের শেষ দিকে এসে দেশে নতুন রোগী বাড়তে শুরু করে লাফিয়ে। সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃত্যু। সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। যদিও তা ছিল ঢিলেঢালা। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে আবারও সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। এখনো সে প্রবণতা অব্যাহত।