দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত দুই ভাই

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-21 23:48:48

করোনায় কারো সর্বনাশ কারো পৌষ মাস অবস্থা। অতিমারির শুরু থেকেই দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্যশস্য দিয়ে পাশে রয়েছে সরকার। দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত চাল চুরির দায়ে বরখাস্ত হয়েছেন রাজবাড়ি পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিক মন্ডল। দুর্নীতি যেন পারিবারিক ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্ডল পরিবারে।

এবার করোনাকালে উপজেলা পরিষদের জায়গা দখল করে নিকট আত্মীয়দের বরাদ্ধ দেওয়া ও উপজেলা পরিষদের অর্থ আত্মসাৎ প্রমাণিত হওয়ায় বরখাস্ত হয়েছেন তারই ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ মন্ডল। আরেক ভাই ইদ্রিস মন্ডলের নামে রয়েছে একাধিক বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসী আইনের মামলা, তাদের আরেক ভাই ওয়াজেদ মন্ডল এখন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পাংশা পৌরসভার চেয়ারম্যান।

গত ৫ মে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সামছুল হক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ফরিদ হাসান ওদুদকে বরাখাস্ত করা হয়া।

এক সময়ে এরা জড়িত ছিলো ওয়াকার্স পার্টির সঙ্গে। তার আগে ছিলেন চৈনিক পন্থী আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির সঙ্গে। আওয়ামী লীগে এসে হঠাৎ পাংশার রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন তারা। কোনঠাসা হয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। একের পর এক খুন হতে থাকে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা। খুন হন কৃষক নেতা নাদের মুন্সী।

আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটি আয়োজিত সমাবেশে হামলা করে তারা আহত করে উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। পাংশা আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা পরিবারটির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে একের পর এক দুর্নীতির কারণে বরখাস্ত হওয়ার দায় পড়ছে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে। পাংশা আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মীদের প্রশ্ন এই পরিবারের অপকর্মের দায় নেবে কে? কারা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে।

আওয়ামী লীগ করলেও এদের সম্পর্ক বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী চাদ আলী খানের সঙ্গে। সদ্য বরখাস্ত হওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ মন্ডল লুটপাটের মাধ্যমে ইতিমধ্যে শত কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নিজ নামে ক্রয় করেছেন কয়েকশ কোটি টাকার ভূ-সম্পদ। এই পরিবারের লোকেরা একাধিকবার হামলা করেছে পাংশায় কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর।

এ নিয়ে ঢাকার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ মানববন্ধন করে সন্ত্রাসীদের বিচার চেয়েছে, তারপরও রহস্যজনকভাবে নীরব রাজবাড়ির পুলিশ প্রশাসন। উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হওয়ার পর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর