নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরতে যাওয়ায় ১৪ জেলের এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দুইটি জেলে নৌকা ও দুই হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়।
রোববার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল হক তাদের প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এর আগে তিনি শনিবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত মেঘনা নদীর চর আবদুল্লাহর হুজুরের খাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. ইলিয়াস, সিরাজ, নোমান, নাজিম, লোকমান, ইউনুছ, মনির, আইয়ুব, নুরে আলম, মিজান, নেজামল হক, মিরাজ, রিয়াজ, শাহীন ও ইসমাইল। তারা নোয়াখালী ও ভোলা জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রফিকুল হক জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের দায়ে অভিযান চালিয়ে ১৫ জেলেকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ১৪ জনকে একমাস করে করাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। অপর এক জেলে কিশোর হওয়ায় তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম। টানা ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মেঘনা এলাকায় সকল প্রজাতির মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ সময় মাছ শিকার, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ। এ আইন আমান্য করলে জেল-জরিমানা এবং উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।