প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজের দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে। সব সময় খালি পরমুখাপেক্ষী থাকলে হবে না। বর্তমান যুগে কেউ একা চলতে পারে না। বর্তমান যুগে সবাইকে নিয়েই চলতে হয়।
মঙ্গলবার (১৮ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ একনেক সভায় সরকার প্রধান একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই সভায় যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারির প্রথম থেকেই আমি এ কথাটিই বার বার বলছিলাম যে করেই হোক আমাদের খাদ্য উৎপাদনটা অব্যাহত রাখতে হবে। যেন কোন মতেই আমাদের খাবারের অভাবটা না হয়। এই দিকটাতে সবাইকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।
মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করেন, ট্রেনিং দেন। তাদের বলেন নিজের বাড়িতে অনেক জমি-জমা পড়ে থাকে। সেগুলো পড়ে থাকবে কেন? সেগুলো চাষবাষের আওতায় নিয়ে এসে খামার করে অনেক টাকা বানাতে পারে। এমনকি ইন্ডাস্ট্রিজের মালিকও হতে পারে। প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ সব থেকে বেশি ভালো চলবে। দেশেও তো মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে আবার বিদেশেও রফতানি করতে পারি। দেশের বাজার তৈরিটা সব থেকে আগে।
তিনি বলেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দিয়ে আবার দেশের বাজারেও সেটা সম্প্রসারিত করতে পারব। তাতে আমার উৎপাদন ব্যবসা বাণিজ্য সবই বাড়বে। নিজের দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে। সব সময় খালি পরমুখাপেক্ষী থাকলে হবে না। বর্তমান যুগে কেউ একা চলতে পারে না। বর্তমান যুগে সবাইকে নিয়েই চলতে হয়। এখন পৃথিবীটা হচ্ছে গ্লোবাল ভিলেজ অর্থাৎ পুরো বাংলাদেশ আধুনিক প্রযুক্তির যুগে সারাবিশ্বটাই এখন সবার সঙ্গে সবার যোগাযোগের একটা সুযোগ। কাজেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সেটার যেন কাজে লাগতে পারি, প্রযুক্তি আবার সমস্যাও সৃষ্টি করে, সব মিলে মিশে এর থেকে ভালোটা বেছে নিতে হবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সেটা পারব। জাতির পিতা ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন কেউ দাবায় রাখতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবায় রাখতে পারবে না।