সীমান্ত জেলাগুলোতে হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় আরেক দফা বাড়তে পারে লকডাউন বা বিধিনিষেধ।
শনিবার (২৯ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান বিধি নিষেধের শেষ দিন রোববার (৩০ মে) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি হতে পারে। এই নির্দেশনায় নতুন কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলায় করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে। এজন্য সীমান্তবর্তী জেলায় মানুষের চলাচলে ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমণ বাড়ায় এর মধ্যেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৪টি সীমান্তবর্তী জেলায় সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। কার্যকর লকডাউন, করোনা পরীক্ষা বাড়ানো এবং আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের আইসোলেশন করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১০ থেকে ১৬ মের তুলনায় ১৭ থেকে ২৩ মে এই এক সপ্তাহে ২২ জেলায় নতুন করোনা রোগী বৃদ্ধির হার শতভাগ বা তার বেশি ছিল। এর মধ্যে ১৫ জেলা-ই সীমান্তবর্তী। এ জেলাগুলোর মধ্যে নয়টির প্রতিটিতে এক সপ্তাহে শনাক্ত আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশের নিচে। এ জেলাগুলোর মধ্যে আছে ভারতের সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, লালমনিটরহাট, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, রাজশাহী, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, জামালপুর, রাঙামাটি ও বান্দরবান। এ ছাড়া এ তালিকায় আছে নাটোর, গাইবান্ধা, খুলনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, কক্সবাজার ও নরসিংদী।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সারাদেশে গত ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ চলছে। ৫ দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়, যা আগামী ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে।
চলমান এই লকডাউনে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাস সার্ভিস, লঞ্চ, বিমান ও রেল যোগাযোগ। তবে পরবর্তীতে অর্ধেক আসন খালি রেখে সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস ও অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু করা হয়। এছাড়া কয়েকটি আন্তর্জাতিক রুটেও ফ্লাইট চালু করা হয়েছে। তবে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী অর্ধেক যাত্রী নিয়ে আন্তজেলা গণপরিবহন চলছে।