ই-কমার্স খাতে বিনিয়োগ পেতে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন বক্তরা। তাদের মতে, ই-কমার্সের প্রবৃদ্ধিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে প্রকৃত ও সম্ভবনাময় ই-কমার্স উদ্যোগে বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে নতুন এক মাত্রা যুক্ত হতে পারে। যা হবে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সহায়ক।
রোববার (৩০ মে) বিকালে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘ডিরেক্ট ইনডিরেক্ট ফরেন ইনভেস্টমেন্ট: প্রসপেক্টস ইন ই-কমার্স সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করে বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল ও ই-ক্যাব।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও বিজেনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) সমন্বয়ক মো. আব্দুর রহিম খান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগের চমৎকার ক্ষেত্র। বাংলাদেশের আইনে এ সংক্রান্ত অনেক সুরক্ষা আছে। ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এন্ড প্রটেকশন আইনে স্পষ্টভাবে একজন বিদেশী উদ্যোক্তার অথবা বিনিয়োগকারীর সুরক্ষার বিষয়গুলো উল্লেখ আছে।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লাইট ক্যাসল পার্টনারস এর সিইও বিজন ইসলাম। এ সময় তিনি বাংলাদেশের ই-কমার্স সেক্টরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি এবং তার বিপরীতে বিনিয়োগচিত্র তুলে ধরেন।
ই-ক্যাবের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল হক অনু বলেন, আমরা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি যে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ সংক্রান্ত নথি প্রস্তুত করতে সক্ষম নন। ফলে তারা প্রয়োজন এবং সঠিক বিনিয়োগ পরিকল্পনা থাকা সত্বেও তা উপস্থাপনা করতে না পারায় বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত হন। এজন্য ইতোমধ্যে আমরা রেডিনেস প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি।
ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বলেন, বাংলাদেশে ই-কমার্স যেভাবে প্রবৃদ্ধি লাভ করছে এই মুহুর্তে দেশী বিদেশী আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। এ ব্যাপারে বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা উভয়কে সহযোগিতা করার জন্য ই-ক্যাব প্রস্তুত রয়েছে।
ই-ক্যাবের ইনভেস্টমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও প্রিয়শপ এর সিইও আশিকুল আলম আলম খান বলেন, ই-কমার্স বাংলাদেশের জন্য একটা সম্ভাবনাময় খাত। গত বছর এই খাতে প্রায় ৩০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কিছু স্টার্টআপ এই খাতে কাজ করার জন্য এগিয়ে এলেও বহু স্টার্টআপ তাদের আইডিয়াগুলা পিচ করতে না পারায় বিনিয়োগ পাচ্ছে না।