এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করবে এটাই যৌক্তিক: তথ্যমন্ত্রী

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-22 17:27:39

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে থাকার দাবি অমূলক বলে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করবে এটাই যৌক্তিক।

সোমবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মানস’ আয়োজিত বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

রোববার (৩০ মে) এক অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে নেওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি তাঁরা একটি চিঠি পেয়েছেন। এই সেবা ইসির হাতেই থাকা উচিত। না হলে কিছু অসুবিধা হবে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত জাতীয় পরিচয়পত্র এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। জাতীয় পরিচয়পত্র আর ভোটার আইডি এক বিষয় নয়। জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয় যেই শিশুটি জন্মগ্রহণ করবে, এ থেকে আমৃত্যু। পৃথিবীর সব দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা অন্য কোন মন্ত্রণালয় করবে। এটি নির্বাচন কমিশন করে না। নির্বিাচন কমিশন শুধু ভোটার তালিকা নিয়ে কাজ করে।

যখন এটি একটি প্রকল্প হিসেবে শুধু ভোটার তালিকা প্রণয়নের বিষয় ছিল, তখন সেটি নির্বাচন কমিশনের হাতে ছিল। যেটা ছিল যৌক্তিক। যখন এটা ভোটার তালিকা নয়, জাতীয় পরিচয়পত্র তখন এটি সরকারের হাতে বা সরকারের নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকবে এটাই যৌক্তিক। পৃথিবীর সবদেশেই তা হচ্ছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য অমূলক দাবি করে মন্ত্রী বলেন, এই জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার জন্য যে তথ্য উপাত্ত সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই সংগ্রহ করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই পাসপোর্ট দেয়। বিদেশে যারা অবস্থান করছে তাদের পাসপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেয়, তাদেরকেও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এখানে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতই।

জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার পর আঠার বছরের বেশি বয়স যাদের, যারা ভোটার হওয়ার উপযুক্ত, তাদের তালিকা নির্বাচন কমিশনের হাতে দেওয়া হবে বা হস্তান্তর করা হবে। এখানে যেটি নির্বাচন কমিশন থেকে আশঙ্কা করা হয়েছে সেটি আসলে অমূলক। এবং সেটি নির্বাচন কমিশনের হাতে নয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকাই যৌক্তিযুক্ত।

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান।

এ বিষয়টি বিবেচনা করা হবে কি না জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা বাংলাদেশে পান সেটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার পছন্দনীয় হাসপাতালে, তার পছন্দমত ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। এবং তিনি সু-চিকিৎসা পাচ্ছেন বলেই সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং তিনি সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন।

তার আগে আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো বেগম জিয়া শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কারাগারে থাকার কথা ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার সর্বোচ্চ মানবিকতার কারণেই তাকে এই করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিরে মধ্যে যাতে পরিবার পরিজনের সঙ্গে থাকতে পারেন। সে জন্য তাকে তার (প্রধানমন্ত্রীর) প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে মুক্তি দিয়েছেন তাই তিনি ঘরে অবস্থান করছেন।

তার যে শারীরিক সমস্যাগুলো এগুলো তিনি ২০ বছর ধরেই ভুগছেন। এবং সেগুলোর চিকিৎসা দেশেই আছে। তাই বিএনপির দাবি সম্পূর্ণ অমূলক। তাই বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, বরং তাকে কারাগারে না রেখে বাইরে রেখেছেন এর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানানো উচিৎ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক অরুপ রতন চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন মানস এর সাধারণ সম্পাদক কন্ঠশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর