নির্মাণাধীন ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় জেল-জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডের হোল্ডিং নং-৫/২ এর প্লট নং-৭ এ ভবনের মালিক চিত্রনায়ক এম এ জলিল (অনন্ত জলিল)।
মঙ্গলবার (০১ জুন) সকালে মোহাম্মদপুর ইকবাল রোড এলাকায় এডিস মশা, ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া বিস্তার রোধকল্পে মশক নিধনে চিরুনি অভিযান শুরুতেই ডোমিন বিল্ডার্সের একটি নির্মাণাধীন ভবন এবং এম এ জলিলের নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শনে যান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন ডোমিন বিল্ডার্সকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন। আর এম এ জলিল এর বাসার কাজে নিয়োজিত নির্বাহী প্রকৌশলীকে ৬ মাসের বিনাশ্রম জেল দেন।
এবিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন বলেন, এখানে আমাদের কাউন্সিলর তিনবার এসে সর্তক করেছেন, আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা এসেছেন তাদের বার বার বলে দিয়েছেন সর্তক করছেন কিন্তু তারা কোনভাবেই সর্তক হননি, কোন পরামর্শ শোনেননি। আজ এসে দেখেছি অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। তাই সরকারের সংক্রমণ আইনের ২৭৯ ধারায় ৬ মাসের জেলের বিধান আছে সেই বিধান মোতাবেক এখানে যিনি দায়িত্বে আছেন প্রাথমিক পর্যায়ে তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই না কাউকে জেল জরিমানা করতে। কিন্তু বার বার বলার পরেও কেউ কর্ণপাত করেন না। অনেকে ক্ষমতা দেখান কেউ রাজনীতির ক্ষমতা কেউ টাকার ক্ষমতা দেখান। আজ আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট বাধ্য হয়ে জরিমানা ও জেল দিয়েছে। আমার আহ্বান আপনারা নিজের আঙিনা পরিষ্কার রাখুন। তিন দিনে এক দিন জমা পানি ফেলে দিন। এখানে তিন দিনের জমা পানি না ৩০ দিনের জমা পানি ছিল। তাই জেল-জরিমানা করা হয়েছে।
পরে মেয়র ডোমিন বিল্ডার্স ও এম এ জলিলের নির্মাণাধীন ভবনে রেড অক্সাইড দিয়ে মার্ক করে দেন এবং লিফলেট টাঙিয়ে দেন এই বাসায় এডিসের লার্ভা আছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, স্থানীয় কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম প্রমুখ।