মিতু হত্যায় সাক্ষ্য দেওয়ার পর নিরাপত্তা চেয়ে মুছার স্ত্রীর জিডি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2023-08-28 12:09:09

চট্টগ্রামে আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার পর নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন আসামি কামরুল ইসলাম শিকদারের স্ত্রী পান্না আক্তার।

মঙ্গলবার (০১ জুন) বেলা দেড়টার দিকে রাঙ্গুনিয়া থানায় পান্না আক্তার এই জিডি করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মিলকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পান্না আক্তার গতকাল সোমবার আদালতে সাক্ষ্য দেন।

জিডিতে মুছার স্ত্রী পান্না দাবি করেন, তিনি বহুদিন ধরে হুমকি পেয়ে আসছেন। জবানবন্দি দেওয়ার পরও তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ওসি মাহবুব মিলকী জানান, ২০১৬ সালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পান্না আক্তারকে বিভিন্ন মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল করে হুমকি দেন। তখন তিনি ওই নম্বরগুলো সংরক্ষণ করতে পারেননি। গতকাল আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ক্ষতি করতে পারেন, সে আশঙ্কায় তিনি জিডি করেছেন।

থানা-পুলিশ জানায়, আদালতে সাক্ষী হিসেবে পান্না আক্তার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, ২০১৬ সালের ওই হত্যাকাণ্ডের পর কিছুদিন পালিয়ে থেকে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁর স্বামী মুছা। তবে যেদিন মুছা আদালতে যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন, সেদিনই গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন তাঁকে ধরে নিয়ে যান।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। এ ঘটনায় মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রায় ৫ বছর পর গত ১২ মে ওই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মিতু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। একইদিন বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে নতুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। বাবুল আক্তার ছাড়া মামলার বাকি সাতজন আগের মামলাতেও আসামি ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর