নর্তকী আবুল গ্রেনেড মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি

খুলনা, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 10:33:36

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ জনের মধ্যে ২ জনের বাড়ি ঝিনাইদহে। তারা হলেন- ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি এলাকার বেলাত আলীর ছেলে উজ্জল ওরফে রতন ও শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জের আবুল কালাম আজাদ বুলবুল।

উজ্জল ওরফে রতন ঝিনাইদহ শহরে বাইসাইকেল মেকারের কাজ করতেন। এলাকার কিংকন ও আরিফ বিল্যাহের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তাদের মাধ্যমে মুফতি হান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। ২০০৭ সালে মাগুরার শ্রীপুর থেকে র‌্যাব তাকে আটক করে। এরপর তার পরিবার জানতে পারে রতন গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি।

আবুল কালাম আজাদ বুলবুলের বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার বকসিপুর গ্রামে। এক সময় মেয়ে সেজে যাত্রাদলে নর্তকীর কাজ করত। স্থানীয় গাড়াগঞ্জ এলাকায় বিয়ের পর দর্জির দোকান দেয়। সেখান থেকে মুফতি হান্নানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। বুলবুলের দোকানে মুফতি হান্নানের নিয়মিত আসা যাওয়া ছিল। ২০০৭ সালে তার দোকান থেকে র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করে।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট শনিবার তৎকালীন বিএনপি সরকারের সময়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে জার্মানির তৈরি আর্জেস গ্রেনেড দিয়ে ভয়াবহ হামলা করা হয়। এ হামলার মাধ্যমে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করাই একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল না ষড়যন্ত্রকারীদের, তারা চেয়েছিল দেশের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগকে চিরতরে শেষ করে দিতে। তবে হামলায় শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের শীর্ষ সারির নেতাসহ ২৪ জন মারা যান। কয়েক শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হন। যারা এখনও শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে যন্ত্রণাকাতর জীবন পার করছেন।

বুধবার (১০ অক্টোবর) গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত ঢাকার এক নাম্বার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।

এ সম্পর্কিত আরও খবর