রংপুরের বদরগঞ্জে নিজের ছেলেকে জবাই করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মিজানুর রহমান (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে করা মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকালে ঘটনাটি ঘটে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের খালিশা হাজীপুর গ্রামে।
গুরুতর আহত শিশুটির নাম আরাফাত রহমান রিফাত (১৪)। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, প্রায় চার বছর আগে স্ত্রী আরিফা বেগমকে ঘুমন্ত অবস্থায় বটি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় ওই সময় থানায় মামলা হলে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মিজানুরের স্বজনরা মানসিক রোগীর সনদ দিয়ে আদালত থেকে তাকে জামিনে ছাড়িয়ে নেন। স্ত্রী হত্যার ওই মামলা এখনও চলমান রয়েছে। এ ঘটনার চার বছর বৃহস্পতিবার সকালে মিজানুর তার ছেলে রিফাতকে বদরগঞ্জ পৌর শহরের স্টুডিও ব্যবসার কাজে যেতে বলেন। ঘুম থেকে উঠতে সামান্য দেরি হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে রিফাতের মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ের আঘাত করা হয়। সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বটি দিয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায় মিজানুর। এসময় বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে ওই সময় সে প্রাণে রক্ষা পায়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে রিফাত।
এ ঘটনায় মিজানুরের বড় ভাই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়।
বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরশাদ আলী বলেন, শিশুটির মাথায় ৫টি ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মিজানুরের বড় ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মিজানুর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।