গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার মহিষবান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিরিন আক্তার করোনাকালীন ছুটিতে চাষ করেছেন গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজ। নতুন জাতের এই তরমুজে তার ক্ষেতটি এখন সেজে উঠেছে হলুদ রঙে।
মঙ্গলবার (৮ জুন) সকালে সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের মধ্য ভাঙ্গামোড় এলাকায় তার ক্ষেতে গেলে মাচার নিচে ঝুলতে দেখা যায় হলুদ রঙের শত শত তরমুজ। এ সময় পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত ছিলেন এক শ্রমিক।
জানা যায়, শিরিন চাকুরির পাশাপাশি নিজের জমিতে উৎপাদন করছেন নানা ধরনের ফসল। এরই মধ্যে দেশের করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। লম্বা ছুটির এসময়টা কাজে লাগাতে পরিক্ষামূলক আবাদ করেছে নতুন জাতের তরমুজ (তাইওয়ান বীজের) গোল্ডেন ক্রাউন। সাধারণত অন্যান্য জাতের তরমুজ মাটিতে চাষ করা হলেও, হলুদ রঙের তরমুজের আবাদ করতে হয়েছে মাচায়।
রাস্তার ধারের এই তরমুজ ক্ষেত পথচারীদের নজর কাড়ে। শুধু পথচারীই নয়, শিরিন আক্তারের আকর্ষণীয় এই তরমুজ ক্ষেত দেখতে দলবদ্ধ ভাবে ছুটে আসছেন উৎসুক মানুষ। অনেকে মোবাইল ফোনে ধারণ করছে তরমুজের ছবি। কেউবা এই তরমুজের স্বাদ নিতে কিনেও নিচ্ছেন। অনেক কৃষক গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ চাষের লক্ষ্যে ছুটে আসছেন শিরিন আক্তারের কাছে।
বিভিন্ন বিষয়ে কথা হলে শিরিন আক্তার জানান, পরীক্ষামূলক ভাবে ১৬ শতক জমিতে হলুদ রঙের তরমুজ আবাদ করেছেন। এতে প্রায় খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ফসল নেওয়া শুরু হয়েছে। এ তরমুজের চাহিদা বাজারে প্রচুর। বীজ, সার, শ্রমিক ও অন্যান্য খরচ বাদে প্রায় দ্বিগুণ লাভ থাকবে বলে আশা করছেন তিনি।
সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার খাজানুর রহমান বলেন, সাধারণত উঁচু জমিতে ওই তরমুজ চাষাবাদ করতে হয়। মাচা পদ্ধতিতে এ চাষে বীজ রোপনের দুই মাসের মধ্যে ফসল আসতে শুরু হয়। অন্য জাতের তরমুজের তুলনায় গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজে রয়েছে স্বাদ-পুষ্টিগুণ অনেক বেশি।