রাজধানীতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে লালবাগ, তেজগাঁও ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ১৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. ফজলুল হক গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন- মো. আকাশ (২৭), ফয়সাল মাহমুদ (২৬), মো. ইমরান (১৯), মো. মিরাজুল করিম (২৩), মামুনুর রশিদ চৌধুরী ওরফে জনি (৩০), ফারহান আহমেদ (২৩), মো. আল আমিন (২৬), মাসুদ রানা ওরফে রাজ (২৪), মো. নাহিদ (১৮), মো. শান্ত (১৮), মো. রাব্বি আল মামুন (২৩), মো. ফেরদৌস (১৮), মো. সামি (১২), মো. সাগর (১৩), মো. আশিকুল ইসলাম (১২), মো. আলভি (১৪), মো. শান্ত (১৩) ও মো. নয়ন (১৩)।
ফজলুল হক বলেন, বুধবার (৯ জুন) রাতে রাজধানীর লালবাগ, তেজগাঁও এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে কিশোর গ্যাংয়ের ১৮ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০টি ছুরি, তিনটি ড্যাগার, দুটি ক্ষুর, দুটি এন্টিকাটার ব্লেড, দুটি তালা ভাঙার যন্ত্র, দুটি গ্রিল কাটার যন্ত্র এবং আটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে (আটক কিশোর অপরাধীরা) স্থানীয় ভাবে পরিচিত কিশোর গ্যাং গ্রুপ- ‘আকাশ গ্রুপ’ এবং ‘সামী গ্রুপ’ এর সদস্য তারা। আটকৃতরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক সেবন, ইভটিজিং, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছিল। তারা টিকটক, লাইকিসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও তৈরির মাধ্যমে ভাইরাল হওয়াসহ বিভিন্ন বয়সী নারীদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের মতো নানা অনৈতিক কাজে জড়িত আছে বলে স্বীকার করেছে।
তিনি আরও জানান, মাঝে মাঝেই তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে।
র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক বলেন, আটককৃতদের থেকে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাব-২ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।