রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন রেজওয়ানুল করিম রিয়াদ ও রাশেদ করিম নামে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এদিকে মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে গিয়ে এমন হেনস্তার শাস্তির দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছেন শিক্ষার্থীরাসহ সচেতন মহল।
শুক্রবার (১১ জুন) রাত সাড়ে ৭টার দিকে রমেকের জরুরি বিভাগে স্টাফদের দাবিকৃত অতিরিক্ত টাকা না দেয়ায় মারধরের এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী রেজওয়ানুল করিম রিয়াদ ও তার ছোট ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদ করিম।
রেজওয়ানুল করিম রিয়াদ জানান, ছোট ভাইসহ অসুস্থ মাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে ভর্তির জন্য নিয়ে যান৷ এসময় ওয়ার্ডের দায়িত্বরতরা নির্ধারিত ফি ৩০ টাকার স্থলে ১০০ টাকা দাবি করেন। অতিরিক্ত টাকার মেমো চাইলে তারা (স্টাফ) মেমো দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কেন অতিরিক্ত টাকা চাওয়া হচ্ছে এর প্রতিবাদ করার সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় ১৫/১৬ জন মিলে তাকে বেধড়ক মারপিট করেন।
ঘটনার সময় তার ছোট ভাই রাশেদ করিম ছবি তোলার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করেন স্টাফরা। এসময় তাদের মোবাইল নিয়ে রেখে দেন তারা। কিছুক্ষণ পরে মোবাইল ফেরত দিলেও এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করলে তাদের দুই ভাইকে গুম করে ফেলার হুমকি দেন স্টাফরা। এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে মারধরের শিকার ওই দুই শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে রংপুর মেডিকেলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আপেল বলেন, বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক দুই শিক্ষার্থীর মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি উপর মহলে জানিয়েছি।
তবে এ বিষয়ে রমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।