ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল ২০২০ এর অধীনে হয়ে গেল ভার্চুয়াল এন্ট্রাপ্রিনিউরশিপ, স্কিলস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠান। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি'র সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এম. এ. মান্নান, এমপি।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক কোঅপারেশন ইয়্যুথ ফোরামের (আইসিওয়াইএফ) প্রেসিডেন্ট তাহা আয়হান।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: আখতার হোসেন এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর'র মহাপরিচালক মো: আজহারুল ইসলাম খান।
প্রতিযোগিতার সামগ্রিক কার্যকলাপ তুলে ধরতে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ভিডিও উপস্থাপন করার মাধ্যমে সমাপনী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান, এমপি বলেন, 'আমাদের দেশের আর্থসামাজিক বিকাশের চলমান ধারাটি ত্বরান্বিত করে একটি স্থিতিশীল এবং টেকসই ভবিষ্যত গঠনের জন্য আমাদের এই বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, উদ্ভাবনের এবং বাস্তবায়নের সাথে জড়িত করা দরকার।'
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, 'বাংলাদেশের বর্তমান যুবসংখ্যা প্রায় ৫৩ মিলিয়ন যারা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ আলোকিত বাংলাদেশ বিনির্মানের ন প্রধান চালিকাশক্তি।'
ইসলামিক কোঅপারেশন ইয়্যুথ ফোরাম (আইসিওয়াইএফ প্রেসিডেন্ট তাহা আয়হান বলেন, 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সকল স্টেকহোল্ডারের জন্য সম্মিলিত দায়িত্ব তরুণদের জন্য একটি উদ্যোগী বাস্তুসংস্থান প্রদান করা।'
সিনিয়র সচিব মো: আখতার হোসেন বলেন, 'আমি আশা করি যে উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে এই ইভেন্টে অংশ নেওয়া যুবকরা প্রশিক্ষণ ও মেন্টরশিপ সেশনের মাধ্যমে শিখেছে যা তাদের উদ্ভাবনী ধারণা ও সমস্যা সমাধান ও পরিচালনায় অবদান রাখবে।'
সমাপনী অনুষ্ঠানে তিন মাসব্যাপী এই প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন আইসিওয়াইএফ প্রেসিডেন্ট তাহা আয়হান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এবং পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান এমপি।
ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশ প্রজেক্টের জন্য প্রথম হন বাংলাদেশের ইমরান ফাহাদ। পোস্টহাব প্রজেক্টের জন্য দ্বিতীয় হন জর্ডানের আলবারাসনেহ আলি। আর কার্বন অ্যাডন্স প্রজেক্টের জন তৃতীয় হন ইন্দোনেশিয়ার মোহাম্মদ নওফাল।
সেরা তিন প্রতিযোগী পান অর্থপুরস্কার। সঙ্গে সকল অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া হয় সনদপত্র।