পরকীয়ার জেরেই স্ত্রী-সন্তানসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যা!

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া | 2023-08-27 18:13:42

পরকীয়ার জের ধরেই কুষ্টিয়ায় স্ত্রী আসমা খাতুন, ছেলে রবিন ও স্ত্রীর ‘কথিত প্রেমিক’ শাকিল হোসেনকে গুলি করে হত্যা করেছেন খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত এএসআই সৌমেন রায়।

রোববার (১৩ জুন) বেলা সোয়া ১১টার দিকে শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের কাস্টমস মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সৌমেন রায় পুলিশকে যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে শাকিলের সঙ্গে আসমার ‘পরকীয়ার সম্পর্কই’ এ খুনের প্রধান কারণ হতে পারে বলে ধারণা করছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম জানান, সৌমেনকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বেশকিছু তথ্য দিয়েছে। পুলিশ সেগুলো যাচাইবাছাই করে দেখছে।

স্ত্রীর ‘পরকীয়ার’ জের ধরে সৌমেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে স্পর্শকাতর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করেছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ।

এরআগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড়ে প্রকাশ্যে শাকিল, আসমা এবং রবিনকে গুলি করে সৌমেন। এ সময় স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ীরা তাকে আটক করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাকিল ও রবিন মারা যান। এবং ঘটনাস্থলে মারা যান আসমা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান এবং অভিযুক্ত সৌমেনকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করেন। নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কে এই সৌমেন:

২০০৪ সালে পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি পান সৌমেন। তার বাড়ি মাগুরার শালিখা উপজেলার কসবা গ্রামে। ২০১৭ সালে কুষ্টিয়ায় সৌমেনের পোস্টিং হয়। এরপর সে উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) পদে পদোন্নতি লাভ করেন। এর মধ্যে আসমার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তখন সৌমেন কুষ্টিয়ার মিরপুর, ইবি, কুমারখালী থানাসহ বেশ কয়েকটি ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এর আগে সৌমেন ২০০৫ সালে আথি রায় নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। সেই ঘরে তার এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তারা খুলনায় বসবাস করে।
সৌমেনের সঙ্গে বিয়ের আগে আসমার আরও দুটি বিয়ে হয়। প্রথম ঘরে এক মেয়ে ও দ্বিতীয় ঘরে রবিনের জন্ম হয়। আসমা পরে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে আঁখি নাম ধারণ করেন।

আসমা খাতুন ওরফে আঁখির গ্রামের বাড়ি বাগুলাটের নাতুড়িয়া গিয়ে কথা বলে প্রতিবেশীরা জানান, এলাকায় তারা থাকেন না। পরিবারসহ কুষ্টিয়া শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আঁখিকে সে শহরে বাসা ভাড়া করে দেয়। মাঝেমধ্যে সে এসে তাদের সঙ্গে থাকতো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর