কোটা পদ্ধতি শুধু প্রণয়ন করলেই হবে না শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য সঠিক কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে বলে জানিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড.আকবর আলি খান।
শুক্রবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র যৌথ আয়োজনে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ছায়া সংসদে তিনি এ কথা বলেন।
যুব সম্মেলন-২০১৮ উপলক্ষে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন মহিলা কলেজের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিতর্কিকরা।
ড. আকবর আলি খান বলেন, বাংলাদেশে কোনো কোটা পদ্ধতি নেই। কোটা পদ্ধতি প্রণয়ন করার আগে আরও অনেক কাজ করতে হবে সরকারকে। কেননা শুধুমাত্র কোটা পদ্ধতি দিয়েই শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মূলধারায় আনা সম্ভব নয়। তাদের জন্য সঠিক কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা প্রয়োজন, তবে তা সমস্যা থেকে উত্তরণের একমাত্র রাস্তা নয়। শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সমাজের সকল পর্যায়ে প্রতিবন্ধী বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আর তা হলেই তাদের জীবন পরিবর্তন করা সম্ভব।
একই অনুষ্ঠানে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড.বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য রাষ্ট্র যা করছে তা যথেষ্ট নয়। আরও বেশি কাজ করতে হবে তাদের সামজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে।
সমাজে প্রতিবন্ধীদেরকে বঞ্চিত করার ও ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখার একটা প্রবণতা রয়েছে। এ প্রবণতা থেকেও আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। দৃষ্টি ভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে আমাদের।
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড.দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রতিবন্ধীদের দয়া নয় তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কোটা পদ্ধতি প্রণয়ন করে প্রতিবন্ধীদের মূলধারায় নিয়ে আসা সম্ভব নয়। তবে কোটা পদ্ধতির প্রয়োজন আছে, তবে এটি একমাত্র সমাধান নয়।
কেননা রাষ্ট্র সমস্যাগুলোর দিকে শুধুমাত্র তাকায় কিন্তু দেখে না। তাই সার্বিক সমাজ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধীদের জন্য বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি না করতে পারলে সমস্যা থেকেই যাবে।
বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি পরিচালনা করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
প্রতিযোগিতা শেষ দুই দলেকেই ক্রেস্ট ও সারর্টিফিকেট প্রদান করা হয় এবং দুই দলকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।