কাশবনে জীবিকার খোঁজ

খুলনা, জাতীয়

মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 08:48:53

ঋতু পরিক্রমায় এখন শরতের শেষ প্রায়। তবুও নীল আকাশে মেঘের ভেলা ভাসিয়ে শরৎকাল তার উপস্থিতির জানান দিচ্ছে। এরই মাঝে শুভ্রতায় মোড়ানো কাশফুল অপরূপ সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। প্রতিদিনই কাশবনে সৌন্দর্য পিপাসুরা ভিড় জমান প্রকৃতির ¯স্নিগ্ধতার পরশ নিতে।

সাদা কেশর দুলিয়ে শরতের কাশফুল শুধু যে সৌন্দর্যের দ্যুতি ছড়ায় তা নয়, এ অঞ্চলে কাশফুল জীবিকার খোরাকও বটে। কাশফুলের খড়, ছন আর ঝাটিতে আর্থিকভাবে আসে সচ্ছলতাও।

খুলনার বাইপাস রোড সংলগ্ন নতুন জেলখানা প্রাঙ্গণ, আড়ংঘাটাসহ বাইপাসের পাশে অনেক জায়গায় প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা কাশবনে জীবিকার সন্ধান করেন শতাধিক পরিবার। কাশ বন থেকে পাওয়া আগাছার মতো ছন, খড় ও ঝাটি পানের বরজের জন্য খুবই দরকারি। এছাড়া এগুলো শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

খুলনার এ অঞ্চল থেকে কাশবনের ছন, খড় ও ঝাটি পার্শ্ববর্তী নওয়াপাড়া, ফকিরহাট ও বাগেরহাটের পান বরজে যায়। এ কারণে কাশ ফুলের মৌসুম শেষ হলেও এর চাহিদা থাকে প্রচুর।

কাশবন থেকে খড় ও ঝাটি তুলতে আসা মহসিন আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কাশবনের ছন দিয়ে পানের বরজে ছাউনি দেওয়া আর পান গাছের শলার সঙ্গে উপরে বেঁধে রাখা যায়। সুতা বা দড়ি দিয়ে বাঁধলে তা স্থায়ীত্ব পায়না, কিন্তু ছন দিয়ে বাঁধলে অনেক দিন থাকে। এ কারণে বরজে খড় বা ছন ব্যবহার করা হয়।

কাশবন কেটে অনেকে আবার পাইকারের কাছে ছন, খড় ও ঝাটি বিক্রি করে। এক আঁটি পাঁচ টাকা আর ভ্যান ভর্তি শুকনো ছন ২ থেকে ৩শ টাকায় বিক্রি হয়।

শরৎকাল শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গেই কাশবনের সাদা ফুল ঝরে পরে। তখনই এ মৌসুমী কাজ শুরু হয়। ঝামেলা বিহীন ও উৎপাদন খরচ না থাকায় বেশ জনপ্রিয় এ কাজটি।

এছাড়া আশপাশের কয়েকটি অঞ্চলে কাশবন থেকে পাওয়া ছন, ঝাটি থেকে গৃহস্থালির বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী, শো-পিসসহ অনেক দৃষ্টি নন্দন দ্রব্যাদি প্রস্তুত করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর