বিএনপির এমপি হারুনকে চ্যালেঞ্জ জানালেন তরিকতের নজিবুল বশর

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 01:10:58

জিয়াউর রহমান লাইসেন্সে মুসলমানদের মদ খাওয়াকে নিষিদ্ধ করেছেন বলে উল্লেখ করেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। তার এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি আপনি ওই আইন নিয়ে সংসদে দেখাবেন, কোথায় জিয়াউর রহমান সাহেব লিখে দিয়ে গেছেন যে কোন মুসলমান মদ খাইতে পারবেনা। যদি দেখাতে না পারেন আপনার সংসদ সদস্য পদ যাবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে বিষয়টি উত্থাপন করেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। পরে সেটির জবাব দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রবীণ সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, এদেশের তরুণ প্রজন্মকে নষ্ট করার পথ বঙ্গবন্ধু বন্ধ করেছিলেন। সুতরাং সত্যকে সত্য স্বীকার করেন। এর জন্য দায়ী হলো বিএনপি, দায়ী জিয়াউর রহমান। অন্য কেউ দায়ী নয়।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার সবসময় মদ, জুয়াসহ কোন ধরনের অপকর্মের কখনোই পারমিশন দেয় না, দেবেও না। বার বন্ধ করতে গেলে আপনারাই আবার চিৎকার করেন যে না না এটা বন্ধ করা যাবে না। বিদেশিদের কথা বলে সেখানে গিয়ে অপকর্ম করবেন। এটা বাংলাদেশ হওয়া উচিত না।

নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, হারাম, হারামই ভালো, ভালো, খারাপ খারাপ। এখানে কেউ যদি নিজেদের স্বেচ্ছায় গিয়ে কিছু করে, কারো কিছু বলার নেই। উনি (হারুনুর রশীদ) বললেন সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দিবেন, আজকেই উনার ছেড়ে দেওয়া উচিত। মুসলমানদের নিষিদ্ধ করা আছে এটা কোথায় লেখা আছে? যে কোন মুসলমান মদ খাইতে পারবে না। ওই লাইসেন্সে কোথায় লেখা আছে? একটা কথা বললেই হল।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সাহেব মদের লাইসেন্স দিয়ে গিয়েছেন, পরবর্তীতে যুগে যুগে পরবর্তী সরকার যদি করে, অবশ্যই দোষ স্বীকার করতে রাজি আছি। হারাম, হারাম, খারাপ, খারাপ কিন্তু আপনি যে বললেন চ্যালেঞ্জ করলেন আমি এখন আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি আপনি ওই আইন নিয়ে সংসদে দেখাবেন, কোথায় জিয়াউর রহমান সাহেব লিখে দিয়ে গেছেন যে কোন মুসলমান মদ খাইতে পারবেনা, এই লাইসেন্সে। যদি দেখাতে না পারেন আপনার সংসদ সদস্য পদ যাবে।

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, বঙ্গবন্ধু কোন সময় কোন ধরনের মদের লাইসেন্স বা এ ধরনের ফরেন লাইসেন্স এর অনুমোদন দেননি। ২১ বছর আইনটাকে অপব্যবহার করে আজকে এটা করা হয়েছে। একজন মানুষকে একটা ক্লাব থেকে ডাক্তারের সার্টিফিকেট নেন। ডাক্তার সার্টিফিকেট দেয় যে উনার জীবন রক্ষার জন্য মদের প্রয়োজন প্রতিদিন। এই সার্টিফিকেট নিয়ে লাইসেন্স তৈরি করা হয়। এই লাইসেন্স এর পরিপ্রেক্ষিতে একজন ৭ বোতল মদ তার বাসায় রাখতে পারে।

তিনি বলেন, বিএনপি এই লাইসেন্সটা দিয়েছিল। বিদেশি যারা আসবে তাদের অ্যারেঞ্জমেন্টের জন্য তাদের মদ খাওয়ার জন্য এটা করেছেন। এটা অনেক ইসলামিক রাষ্ট্র আছে।

তিনি আরও বলেন, অভিনেত্রী পরীমনির ব্যাপারটায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মায়ের মমতায় রেসপন্স করেছেন। আমাদের নাসির যদি (প্রেসিডিয়াম মেম্বার) এটা করে থাকেন, তাহলে আইন আইনের গতিতে চলুক। আইনে যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে আমাদের থেকে কোনো বাধা নেই। কিন্তু কারো উপর, কারো গায়ে হাত দেওয়ার অধিকার, কাউকে অপমান করার এখতিয়ার কেউ কাউকে রাখে না। একজন পুলিশ যেমন রাখে না, একজন মানুষ আরেকজন মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হরণ করতে পারে না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর