রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের ল্যাবের অচলাবস্থা

, জাতীয়

সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী | 2023-08-30 03:14:03

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে রাজবাড়ী জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে চলছে হাসপাতালের প্যাথলজির কাজ। ধার করা লোক দিয়ে জরুরি কাজ সম্পন্ন করতে হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানালেও নেই কোন সমাধানের উদ্যোগ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী জেলা সদর হাসপাতালে মোট চারটি মেডিকেল টেকনোলজিস্টের  (ল্যাব) পদ রয়েছে। এর মধ্যে দুটি পদ রয়েছে শূন্য। আর বাকি দুটি পদে দায়িত্বরত আছেন মো. ফরিদ শেখ ও খোকন সরকার। কিন্তু তারা দুজনই প্রেষণে রয়েছেন। এর মধ্যে মো. ফরিদ শেখ প্রেষণে রয়েছেন ঢাকার আই.ই.ডি.সি.আর-এ এবং খোকন সরকার রয়েছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে।

যার কারণে এখানকার চারটি পদই এখন খালি রয়েছে। দুজন কাগজে-কলমে থাকলেও তারা কাজ করছেন অন্যত্রে। এখানে একজনও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে প্যাথলজির কাজের। কোন রকম কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। কখনো কখনো ননটেকনিক্যাল লোকদের দিয়েও কাজ সারা হচ্ছে ল্যাবের।

এরই মধ্যে করোনার প্রভাব রাজবাড়ীতে বেড়ে যাওয়ায় শূন্য পদ পূরণ এবং প্রেষণে থাকা দুজন মেডিকেল টেকনোলজিস্টের প্রেষণাদেশ বাতিল চেয়ে হাসপাতাল কর্তপক্ষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দিলেও তার কোন সাড়াই এখন পর্যন্ত অদৃশ্য কারণে পাওয়া যায়নি।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসের ৯ তারিখে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দীপক কুমার প্রেষণাদেশ বাতিল চেয়ে এবং ১১ মার্চ রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ ইব্রাহীম টিটন শূন্য পদ পূরণসহ প্রেষণ বাতিল চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি প্রদান করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই চিঠির কোন উত্তর বা সমাধান তারা পাননি।

চিঠি সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ৩০-৪০ জনের কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ, ৬০-৭০ জনের প্যাথলজি পরীক্ষা ও ১০-১৫ জনের ব্লাড ব্যাগ স্ক্রিনিং করতে হয়। ২ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকলেও তারা প্রেষণে থাকায় ল্যাবের কাজ কার্যত অকার্যকর তাই তাদের প্রেষণাদেশ বাতিল করা হক বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানিয়েছেন তারা।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দীপক কুমার বার্তা২৪.কমকে বলেন, চারটি পদের মধ্যে এখন কেউ এখানে কাজ করছেনা। জনবল না থাকলেও তো আর কাজ ফেলে রাখা যাবেনা। তাই আমরা আপাতত সিভিল সার্জন মহোদয়ের কার্যালয়ের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. শহিদুল ইসলামকে দিয়ে ল্যাবের কাজ করাচ্ছি। শহিদুলের সাথে আরও কিছু হ্যান্ড রয়েছে, যারা তাকে সহযোগিতা করছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর