তিন সফর সঙ্গীর ফোনও ‘বন্ধ’ রেখেছিলেন ত্ব-হা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-23 10:52:22

আলোচিত ধর্মীও বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান তার তিন সফর সঙ্গীর ফোন নিজের কাছে নিয়ে বন্ধ করে রেখেছিলেন বলে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুন) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবু মারুফ হোসেন জানান, আত্মগোপনের দিন সঙ্গে থাকা আব্দুল মুহিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দীনের মোবাইলফোন আদনানই নিয়ে অফ (বন্ধ) করে নিজের কাছে রাখেন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই তিনজনকে এরইমধ্যে ডিবি অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে তথ্যগুলো তারা পেয়েছেন তা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। আদনানসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি ওই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে বলেছেন, এখনও তাদের ভিকটিম হিসেবে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এদিকে পারিবারিক কারণে গাইবান্ধায় বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর রংপুর নগরীর চারতলা এলাকায় তার প্রথমপক্ষের শ্বশুর বাড়িতে ফিরে আসেন বলে জানান ত্ব-হার স্বজনেরা। খবর পেয়ে বেলা ৩ টার দিকে পু্লিশ ওই বাড়ি থেকে আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।

প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর  বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ জানায়, ১০ জুন রাতে ঢাকার গাবতলী থেকে রংপুরের পথে রওনা হন ত্ব-হা ও তার তিন সঙ্গী। এর পর গাইবান্ধার ত্রি-মোহনিতে শিহাব নামে এক বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন তারা। তবে কী সেই ব্যক্তিগত কারণ তা পুলিশ এখনই জানাতে রাজি হয়নি।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকাল চারটার দিকে তিন সঙ্গীসহ আদনান রংপুর থেকে ভাড়া করা একটি গাড়িতে ঢাকায় রওনা দেন। রাতে মোবাইল ফোনে সর্বশেষ কথা হলে আদনান সাভারে যাচ্ছেন বলে তার মাকে জানান। এরপর রাত ২টা ৩৭ মিনিটে স্ত্রী হাবিবা নূরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানের। এ সময় তিনি ঢাকার গাবতলীতে আছেন বলে জানান। তারপর থেকেই তার ফোন বন্ধ থাকায় আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ সময় ত্ব-হার সঙ্গে আব্দুল মুহিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দীন ছিলেন। ওই রাত থেকে তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

এরপর সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি শেষে তাকে না পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর কোতয়ালী থানায় জিডি করেন তার মা আজেদা বেগম।

তরুণ এই বক্তা নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে গুমের অভিযোগ তুলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে তার সমর্থকরা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তাকে গুম করা হয়েছে বলেও প্রচারণা চালানো হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর