সম্পদহীন মানুষেরা এখন ৪ লাখ টাকার সম্পদের মালিক

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর | 2023-08-26 00:07:51

দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষেরা অন্যের জমিতে কিংবা সড়কের পাশে খুপরি ঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করতেন। এখন তারা দুই শতক জমি আর একটি ঘরের মালিক। এক সময় যাদের কিছুই ছিল না এখন তারাও সম্পদের মালিক। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত। 

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এসব সম্পদহীন মানুষকে সম্পদ দিয়ে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। অতিদরিদ্র পরিবার হচ্ছেন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার সম্পদের মালিক।

শুক্রবার (১৮ জুন) বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল মতবিনিময় ও প্রেস কনফারেন্সের এ মন্তব্য করেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুনছুর আলম খান।

এ সময় তিনি জানান, মেহেরপুর জেলায় ১০১টি পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হবে। আগামি রোববার ২০ জুন সকাল সাড়ে দশটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেহেরপুর জেলাসহ সারা দেশের এ প্রকল্পের নতুন ঘরের মালিকানা তুলে দিবেন উপকারভোগীদের মাঝে।

প্রেস কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক ড. মুনছুর আলম খান বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে মেহেরপুর জেলায় ১০১টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে জমির মালিকানা সংক্রান্ত মামলার কারণে কয়েকটির কাজ শুরু হলেও বন্ধ রয়েছে। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হবে এবং সরকারে পক্ষে রায় হলে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। ৪০টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। সদরে ১২টি, গাংনীতে ২৪টি এবং মুজিবনগর উপজেলায় ৪টি।

প্রতিটি ঘর নির্মাণ ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ উল্লেখ করে তিঁনি বলেন, মাটি ভরাট যদি লাগে তাহলে আরও ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়াও কৃষি অফিস, পল্লী বিদ্যুত ও সমাজসেবা অফিসের আলাদা কার্যক্রম রয়েছে। জমি ও বাড়ির মূল্য হিসেবে প্রতিটি পরিবার ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মালিক হচ্ছেন। এক সময় যাদের কিছুই ছিল না এখন তারাও সম্পদের মালিক। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত। এসব মানুষকে জমির দলিলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমিসহ ঘর প্রদান করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে যাদের জমি আছে ঘর নেই তাদের ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যাদের কিছুই নেই তাদেরকে আগে সুযোগ দেওয়া উচিৎ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ভূমিহীন গৃহহীনদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

পৌর এলাকায় এ সুবিধা দেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পৌর এলাকার খাস জমি অকৃষি। কৃষি জমিতে এ ঘর দেওয়ায় পৌর এলাকা বাদ পড়েছে। পরবর্তীতে পৌর এলাকায় এ সুবিধা দেওয়া হবে। এজন্য কেউ জমি দান করলে গ্রহণ করা হবে। দান না পেলে জমি ক্রয় কিংবা অধিগ্রহণের চিন্তা ভাবনা চলছে।

ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, মেহেরপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক আলামিন হোসেন, গাংনী প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাকদ মাহবুব আলম ও পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর