‘গুটিকয়েকের অনিয়মে জন প্রতিনিধিদের অর্জন ম্লান হতে পারে না’

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 02:28:00

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, গুটি কয়েক জন প্রতিনিধির অনিয়ম এবং ভুলের কারণে ৬৫ হাজারের বেশি জন প্রতিনিধিদের অর্জন ম্লান হতে পারে না।

মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার অর্থাৎ জন প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানই পারে জন-মানুষের আশা এবং প্রত্যাশা পূরণ করতে।

রোববার (২০ জুন) গভর্নেন্স এডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত 'করোনাকালে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা ও বাজেট ২০২১-২০২২' শীর্ষক অনলাইন মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তাজুল ইসলাম।

এ সময় তিনি বলেন, সারা দেশে ৬৫ হাজারের বেশি জন প্রতিনিধি আছে। তাদের মধ্যে অল্প সংখ্যক অনিয়মের সাথে জড়িত হলে এর জন্য সকল জন প্রতিনিধিকে দোষারোপ করা ঠিক নয়।

মন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের মহাসংকটে সরকার দেশে লকডাউন ঘোষণার পর সকল জন প্রতিনিধিরা মাঠে-ময়দানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ সময় দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে দু-একজনের ভুল-ত্রুটি হয়েছে। সেটা নিতান্তই নগণ্য। কিন্তু তাৎক্ষণিক ভাবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে আসে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জনমানুষের আকাঙক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং জেলা পরিষদসহ অন্যান্য জন প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। আর শুধু শক্তিশালী করলেই হবেনা এর পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকেই তিনি নিজেও প্রতিদিন অফিস করার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে থাকা সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে নিবিড় ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। খোঁজ খবর নিয়েছেন। তাদের পাশে থেকে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছেন।

মো. তাজুল ইসলাম আশা প্রকাশ করে বলেন, সময়ের ব্যবধানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে জন প্রতিনিধিরাই প্রমাণ করবে সত্যিকারের বাংলাদেশ এবং মানুষের পরিবর্তনের জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ।

জন প্রতিনিধি এবং আমলাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করলেও এটি সঠিক নয় উল্লেখ করে তিনি জানান, জন প্রতিনিধি হোক আর আমলা হোক সবাই এ দেশের সন্তান। সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একটাই আর তা হলো দেশ, মাটি এবং মানুষের উন্নয়ন। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ বুকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তারা কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্ব এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাজেট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে এবং কিছু কিছু খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় ভাবে বাজেট বরাদ্দের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি নেই । নিজেদের আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বনির্ভর হয়ে উন্নয়ন কাজে অবদান রাখা উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণেই দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে । ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তাঁর নেতৃত্বে গোটা জাতি আজ ঐকবদ্ধ্য।

দেশে করোনা টিকা প্রদানের প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও আমাদের আগে টিকার ব্যবস্থা করতে পারেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পেয়েছে।

গভর্নেন্স এডভোকেসি ফোরামের চেয়ারপারসন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন- মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, শাহীন আনাম, ঢাবি উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ শাহান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর