বার্তা২৪.কম-এ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ হাবিব খানের

, জাতীয়

নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-23 23:53:07

বার্তা২৪.কম-এ গত ২০ জুন ‘রাজাকার পূত্র হাবিব মুক্তিযোদ্ধা পূত্র রুহেলের পিএস’ এই শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পুত্র মাহবুবুর রহমান রুহেলের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হাবিব খান (আবুল হাসনাত)।

সোমবার (২১ জুন) পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপিতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করে হাবিব খান বলেছেন, সম্প্রতি বার্তা২৪.কম (barta24.com)) নামের অনলাইন পোর্টালে ''রাজাকার পূত্র হাবিব মুক্তিযোদ্ধা পূত্র রুহেলের পিএস!" শিরোনামে একটি সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

সংবাদটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার নাম,আমার বাবার নাম, গ্রামের নাম, বিশ্ববিদ্যালয় সেশন এবং অন্যকিছু শব্দছাড়া বাকি অভিযোগ নির্জলা মিথ্যা, বানোয়াট এবং মনগড়া, কোন অভিযোগের স্বপক্ষে বিন্দুমাত্র তথ্যপ্রমাণ এই সংবাদে কেউ উপস্থাপন করেনি।

শুরুতে বাবা রাজাকার বলা হয়েছে, এখনো পর্যন্ত দেশে রাজাকারের তালিকা হয় নাই। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ড কর্তৃক প্রকাশিত বিশিষ্ট সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম রইসুল হক বাহার সম্পাদিত "মুক্তি" নামক বইটিতে মিরসরাইয়ের রাজাকারের তালিকা রয়েছে সেখানেও এই নামের কোন ব্যক্তির হদিস নাই, যারা মনগড়া অভিযোগ করেছেন খোঁজ নিলে সেই তালিকায় তাদের আত্মীয়স্বজনও পাওয়া যেতে পারে।

১৩নং মায়ানী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের প্যাডে যেসব অভিযোগ তিনি আমার বাবার নামে করেছেন সেগুলোর তথ্যপ্রমাণ, তালিকা, উনার দ্বারা সংঘটিত অপরাধ, স্বাক্ষী, সাক্ষ্য, আলামত, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা, স্থান, এসডিও অফিসের নথিপত্র সহ উনাকে প্রমাণ করতে হবে এবং যথাযথ তথ্যপ্রমাণ ছাড়া ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে মহান মুক্তিযুদ্ধকে অবজ্ঞা করার দায় এড়াতে পারে্না  বার্তা২৪.কম (barta24.com) । যারা চিহ্নিত করেছেন, কিসের ভিত্তিতে চিহ্নিত করেছেন তা প্রমাণ করতে হবে।

সরকার রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করবে মর্মে মিডিয়াতে সংবাদ আসছে। সম্ভবত সে তালিকাকে বিতর্কিত করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিতর্কিত করতে আগাম প্রয়াস চালাচ্ছে কোন স্বার্থন্বেষী মহল। মুক্তিযোদ্ধা নন এমন কাউকে রাজাকার সাবস্ত্য করে যখন প্রমাণ করা যাবে না তখন আসল রাজাকারের তালিকা প্রকাশ হলে মানুষের মনে যাতে সন্দেহের উদ্রেক হয় সেই চেষ্টা বলে প্রতীয়মান হয় এমন ভিত্তিহীন সংবাদ।

অনেক আগে থেকে শুরু হওয়া মহান মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই বাছাই সম্পন্ন করতে অনেকদিন লাগছে সেক্ষেত্রে রাজাকার হিসেবে কাউকে সাবস্ত্য করার আগে অনেক বেশি যাচাই বাছাইয়ের অবকাশ রয়ে যায়, এমন সংবাদ প্রকাশেও অনুসন্ধানের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। ব্যক্তিস্বার্থে অনেক মুক্তিযোদ্ধাই আরেক মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার হিসেবে অবহিত করতে দেখা যায়, সেখানে তথ্যপ্রমাণ ছাড়া যাকে তাকে রাজাকারের সার্টিফিকেট দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে উন্নয়ণের সরকার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ তৈরির চেষ্টায় লিপ্ত কতিপয় ব্যক্তি। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে প্রায় ৬ কোটি মানুষ ছিল, ধরা যাক মুক্তিযোদ্ধা ছিল ১ কোটি, তাহলে বাকি ৫ কোটি রাজাকার?

সংবাদে উল্লেখিত আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে 'শিবিরের বাইতুল মাল সম্পাদক ছিলাম' এই কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, এ সম্পর্কিত তথ্য প্রমাণ অভিযোগকারী আমার সামনে উপস্থাপন করুক।

রুহেলের হাত ধরে মুজিব কোট পরে আওয়ামী লীগার বনে যাওয়ার যে তথ্য এবং "মুজিব কোট" এর ছবি দেয়া হয়েছে তা একেবারেই মিথ্যা, মুজিব কোটে ছয় বোতাম থাকে, আর আমার পরিহিত এই কোটে বোতাম ৫টি, তা আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও পড়েছি। আমি নাম ও কখনো পাল্টাই নাই। আমি ২০০৯/১০ সালের দিকে Habib khan নামে ফেসবুক আইডি খুলি, যার ব্র্যাকেটে (Abul Hasnat) লেখা ছিল, Habib khan আমার ব্র্যান্ড নেম।

প্রকাশিত সংবাদ সৃজনের মোটিভ দেখে প্রতীয়মান কতিপয় বিপথগামী ব্যক্তি আমার বাবা আব্দুল হান্নানকে রাজাকার আখ্যা দিয়ে তার থেকে ফোকাস সরিয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলরের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং উনার সুযোগ্য সন্তান মাহবুব রহমান রুহেলকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বেশি আগ্রহী। জনাব রুহেলকে দেখে দেশের আই হেইট পলিটিক্স প্রজন্মের অনেকে আওয়ামী রাজনীতির প্রতি আগ্রহী হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধকে পরিপূর্ণভাবে জানছে। তরুণ প্রজন্মের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরির উদ্দেশ্যে এই অপশক্তি ইচ্ছামত রাজাকারের সার্টিফিকেট দিয়ে জলঘোলা করছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর