ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশে ঢাকাগামী লেনে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকার আশপাশের সাত জেলায় লকডাউন চলায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী যানবাহনগুলোকে আটকে দেওয়া হচ্ছে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোলপ্লাজার বলদাখাল নামক স্থানে।
এ কারণে মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দিনভর যানজটের কারণে বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। বাধ্য হয়ে অনেকে হেঁটে গন্তব্যে রওনা করেন।
মঙ্গলবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল হক জানান, আমরা মহসড়কের দাউদকান্দি বলদাখাল এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়েছি। যাতে করে গণপরিবহন মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে। এছাড়া ভোরে টোলপ্লাজা এলাকায় একটি বাস দুর্ঘটনার কারণে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে এখন যানচলাচল প্রায় স্বাভাবিক।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সাধারণত দাউদকান্দির পর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ হয়ে যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করে। করোনা মহামারি থেকে রাজধানী ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন রাখতে সাত জেলায় হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা করায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর থেকে লকডাউন কার্যকর রাখতে হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কের দাউদকান্দি বলদাখাল নামক এলাকায় তল্লাশি চৌকি বসায়। গণপরিবহন থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী কোনো যানবাহনই ঢাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
এদিন, সকাল থেকেই দূরপাল্লার যানবাহন না পেয়ে অফিসগামী মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। আর যানজটটি দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারে পৌঁছে। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থেকে যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেকে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকার পর হেঁটে গন্তব্যে রওনা করেন। তবে এদিন দুপুরের পর থেকে যানজট কিছুটা কমতে থাকে।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীকে সারা দেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় সোমবার। ঢাকার আশপাশের মোট সাতটি জেলায় জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের চলাচল ও কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এমন বিধিনিষেধ আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত। ওই সাতটি জেলা হলো- মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ। এসব জেলায় ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাস চলবে না।