আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দিবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ পর্যবেক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা ভাবছে কমিশন।
জানা গেছে, ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সাত জনের নাম চাওয়া হবে। এই সাত জন মাঠপর্যায়ের নিজ দলের পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দিবেন। এছাড়াও মাঠপর্যায়েও প্রতি প্রার্থীর সাতজন করে প্রায় আট হাজার পোলিং এজেন্টকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রশিক্ষণ নিয়ে আবার মাঠপর্যায়ে তাদের অন্যান্য পোলিং এজেন্টদেরকে প্রশিক্ষণ দিবেন। এ বিষয়ে কমিশনে একটি প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। কমিশন চূড়ান্ত করলেই এই প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
তফসিল ঘোষণার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদেরও প্রশিক্ষণ দেয়ার কথাও ভাবছে কমিশন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, নির্বাচনী যারা পোলিং এজেন্ট থাকবে, তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। তবে পোলিং এজেন্ট থাকে লাখ লাখ, এতো সংখ্যক এজেন্টকে তো প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব না। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনিতদের আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে দেবো। তারা বাকিদের প্রশিক্ষণ দেবে। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। প্রস্তাবনার পর্যায়ে আছে।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক জানান, বিভিন্ন পর্যায়ে ১২টি প্রশিক্ষণ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। পর্যায়ক্রমে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আগে কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোলিং এজেন্টদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। কিন্তু এবার আমরা তা দেব। আমরা যখন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবো, তখন মূলত ওনার কাজ কি, ওনার সম্পৃক্ততা কি, রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে কোন কোন আইন জড়িত এসব জানানো হবে।
এদিকে সারাদেশের প্রায় আট লাখ নির্বাচনী কর্মকর্তাকে অর্থাৎ প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। নির্বাচনের ১৫ দিন আগেই তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করা হবে।
সম্প্রতি একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে প্রশিক্ষণ শুরু করেছে ইসি। ইতোমধ্যে ১২টি ব্যাচে ৩০০ এর বেশি নিজস্ব কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ২৪ ব্যাচে এ প্রশিক্ষণ কর্যক্রম শেষ হবে।