মানিকগঞ্জের লকডাউন-করোনা পরিস্থিতি

, জাতীয়

খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ | 2023-08-29 22:42:21

রাজধানীর পাশের জেলা মানিকগঞ্জ। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার কয়েক লাখ মানুষ যাতায়াত করেন ঢাকা আরিচা মহাসড়কের দিয়ে। মহাসড়কের প্রায় ৩৫ কিলোমিটার অংশ রয়েছে মানিকগঞ্জ জেলায়।

এছাড়াও মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া এবং আরিচা এলাকায় রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দুটি নৌরুট। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা কাজিরহাট হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করছে হাজারো যানবাহন শ্রমিক ও সাধারণ যাত্রীরা।

করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনে এখন মানিকগঞ্জ জেলা। মানিকগঞ্জ শহর ও ঢাকা আরিচা মহাসড়কে লকডাউনের কিছুটা প্রভাব দেখা গেলেও গ্রাম এলাকায় নেই এর কোন প্রভাব। হাট-বাজার ও দোকানপাট চলছে আগের মতোই।

মহাসড়কের প্রায় ৩৫ কিলোমিটার অংশ রয়েছে মানিকগঞ্জ জেলায়

যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও নানা কৌশলে চলছে ছোট বড় অন্যান্য যানবাহন। পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের নজর এড়িয়ে গন্তব্যে যেতে মরিয়া সাধারণ যাত্রীরা। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের কড়া নজরদাড়ি।

এদিকে প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে মানিকগঞ্জ জেলায়। করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা ইউনিট চালু করেছে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার চেয়ে করোনা রোধের জন্য জনসচেতনতা বেশি জরুরি বলে মন্তব্য চিকিৎসকদের।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, করোনা পরীক্ষার জন্য এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৩৯৯ জন নমুনা দিয়েছেন। যাদের মধ্য থেকে করোনা পজিটিভ হয়েছে দুই হাজার ৪৭০ জনের। এর মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে দুই হাজার ৩০৭ জন।

পাটুরিয়া ঘাট

আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে পর্যন্ত মারা গেছেন ৫০ জন। বাকিরা মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য প্রতিদিনি শতাধিক ব্যক্তি স্যাম্পল দিচ্ছেন। এতে করে প্রতিদিনই ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

লকডাউনের বিষয়ে জানতে চাইলে গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বারবারিয়া এলাকায় পুলিশের চেক পোস্ট রয়েছে। মহাসড়ক জুড়ে হাইওয়ে পুলিশের টহল চলমান রয়েছে। কোন ভাবেই গণপরিবহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের করোনা ইউনিটের দায়িত্ব চিকিৎসক ডা. মানবেন্দ্র সরকার মানব বলেন, মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে সবশেষ ২২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালের আইসলোসনে চিকিৎসাধীনে রয়েছে আরও ১৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সচতেন হয়ে চলাফেরা বেশি জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর