অবশেষে চুরি হওয়া সেই শিশু উদ্ধার

রংপুর, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 01:50:16

অবশেষে ৪ দিন পর পুলিশের চিরুনি অভিযানে উদ্ধার হয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক শিশুটি।

রোববার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রমেক হাসপাতালের একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইয়াসমিন সুলতানা মুন্নি (৩২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) কমিশনার মুহম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ।

আরপিএমপি কমিশনার জানান, রমেক হাসপাতাল থেকে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাগুড়ি এলাকার ফারুক মিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন সুলতানা মুন্নি ওই নবজাতককে চুরি করে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে পরমানু গবেষণা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ভবনে আত্মগোপন করেছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্নি পুলিশকে জানায়, সে নবজাতককে সন্তানের মতো লালনপালনের উদ্দেশে চুরি করেছিলেন। তার আগের স্বামীর একটি সন্তান রয়েছে। হাসপাতালের ক্যাম্পাস সংলগ্ন পরিত্যক্ত একটি ভবনে মুন্নির এক আত্মীয় থাকে। আত্মীয়ের কাছে থাকার সুবাদে তার হাসপাতালে অবাধ যাতায়াত ছিল।

তিনি জানান, নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাবড়িঝাড়গ্রামের পরশ চন্দ্রের স্ত্রী সুধা রাণী গত ৯ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য রমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রসূতি ওয়ার্ডে ওই রাতে সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন সুধা রাণী। পরদিন বুধবার ভোরে শিশুটি কোলে আদর করতে নিয়ে সটকে পড়েন মুন্নি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে শিশুটিকে না পাওয়া গেলে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শিশুর নানা সন্তোষ কুমার।

আলীম মাহমুদ জানান, ঘটনার দিন থেকে অবশেষে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা, ডিবি ও ক্রাইম অপরাধ শাখার পুলিশ সদস্যরা চিরুনি অভিযান চালায়। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। রোববার দুপুর ১টা ৩০মিনিটে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মোত্তাকিন মিনান ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (বিডি) আলতাব হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল মুন্নিকে আটকসহ শিশুটিকে উদ্ধার করে।

প্রেস ব্রিফিং শেষে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নবজাতক শিশুটিকে মায়ের কোলে তুলে দেয়া হয়। এ সময় আরপিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান, উপ-পুলিশ কমিশনার (হেড কোয়ার্টার্স) মহিদুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মোত্তাকিন মিনান, অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ কাওছার, সহকারী পুলিশ কমিশনার (বিডি) আলতাব হোসেনসহ রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর