মুন্সিগঞ্জে লকডাউন বাস্তবায়নে দ্বিতীয় দিনে ঘাটের তিন পল্টুনে সেনাবাহিনী ও দুই পল্টুনে বিজিবিসহ জেলা পুলিশ ও প্রশাসন অবস্থান নিয়েছে। জেলার লৌহজং শিমুলিয়া ঘাট অভিমুখে দুটি চেকপোস্টে কাজ করছে পুলিশ ও বিজিবি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘাটে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
ফলে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল থেকে একেবারে যাত্রীশূন্য অবস্থায় রয়েছে শিমুলিয়া ঘাট। তবে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে বলে বিআইডাব্লিউটিসি সূত্র জানাগেছে। বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট মেরিন অফিসার আহম্মেদ আলি জানান, সকাল থেকে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। এসব ফেরিতে শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রাক, জরুরি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার হচ্ছে। তবে যাত্রী উপস্থিতি নেই ঘাটে।
ঘাট এলাকা একবারে ফাঁকা। ঘাটে থাকা যানবাহন পারাপারের পর ফেরির সংখ্যা সীমিত করার পরিকল্পনা চলছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, সর্বাত্মক লকডাউনের নির্দেশনা মানার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। শিমুলিয়ামুখি গাড়ি রোধ করা হচ্ছে। তবে মহাসড়কে ঘাট মুখি যানবাহন এবং যাত্রী নেই বললেই চলে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবনাথ জানান, ভোর থেকে একাধিক চেকপোস্টে ও প্রতিটি থানা এলাকায় গাড়িতে মাইকিং করে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে বাজার এলাকায়।
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বলেন, শিমুলিয়া ঘাটে তিন পল্টুনে সেনাবাহিনী, দুই পল্টুনে বিজিবি এবং র্যাব সদস্যরা কুইক রেসপন্স টিম হিসাবে কাজ করছে। প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া আনসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যুক্ত করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গ্রাম পর্যায় লকডাউন বাস্তবায়ন করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদভিত্তিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। রোভারদের বাজার মনিটরিং কাজে লাগানো যায় কিনা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদিখানে নিমতলি এবং শিমুলিয়া ফেরিঘাটে এলাকায় ইতিমধ্যে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।