কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় খালের পানিতে ভেসে আসে এক নারীর (৫৫) মরদেহ। এরপর মরদেহটি উদ্ধারের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে পতাকা বৈঠক হয়। তবে দীর্ঘ বৈঠকের পরও ওই নারীর মরদেহ গ্রহণ করতে রাজি হয়নি বিএসএফ সদস্যরা।
সর্বশেষ বেওয়ারিশ হিসেবে বুধবার (৭ জুলাই) বিকেলে ভারতীয় ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় নিয়ে আসা হয়। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা ১০ বিজিবির আমানগন্ডা সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার সুবেদার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বুধবার সকালে থেকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ২১০৬ ও ২১০৭ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নাটাপাড়া এলাকায় অজ্ঞাতনামা ওই নারীর মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি হিন্দু নারীর বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপর মরদেহটি কোন দেশ নেবে, এনিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্তনুযায়ী বিকেলে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে-পাহাড়ি ঢলে ভারত থেকে ওই নারীর মরদেহটি ভেসে আসে বাংলাদেশ সীমান্তে। সুরতহাল শেষে মরদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এছাড়াও মরদেহের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।