পূজায় প্রয়োজন বাড়তি নিরাপত্তা

খুলনা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 08:13:41

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে খুলনায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে আরও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

দুর্গাপূজার অধিকাংশ আনুষ্ঠানিকতা রাতে হওয়ায় মণ্ডপে মণ্ডপে ভক্ত, পূজারি ও দর্শনার্থীরা ঘুরে বেড়ান রাতভর। এ জন্য শুধুমাত্র মণ্ডপ বা মন্দির এলাকায় নয়, নিরাপত্তা বলয় প্রয়োজন পুরো নগরী জুড়ে।

নগরীর কালীবাড়ি এলাকার মুক্তা দাস বার্তা২৪.কমকে জানান, পূজা দেখতে এলে বখাটেরা রাস্তায় ইভটিজিং করে। মোটরসাইকেলের মহড়া দিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এদের কারণে রাতে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে পূজা দেখতে ভয় করে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাতে ছিনতাইকারীর প্রবণতা থাকায় নিরাপত্তা শঙ্কায় ভোগে অনেকেই।

বড় বাজার সার্বজনীন পূজা মণ্ডপের পূজারি বিজয় ব্যানার্জি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশংসা করি। বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসব সার্বজনীন হওয়ায় মন্দিরে সব ধরনের মানুষের আগমন ঘটে। ভক্ত, পূজারি ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে অনেক সময় দুষ্কৃতিকারীরাও ঢুকে পরতে পারে। যে কারণে নিরাপত্তার দায়িত্বশীলদের তল্লাশি, হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর রাখাসহ সতর্ক ব্যবস্থা রাখা জরুরি।

মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুণ্ডু জানান, মহানগরীর ৮টি থানায় এ বছর ১২৩টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব উদযাপিত হচ্ছে। সব মণ্ডপই সমানভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় আনা প্রয়োজন। প্রতিটি মণ্ডপেই ভক্তরা প্রার্থনা করতে যাচ্ছেন। যে কারণে সব মণ্ডপের নিরাপত্তায় সমান গুরুত্ব দেয়া উচিত।

প্রতিবছরই বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পূজায় আগতরা ছিনতারী, বখাটে, উচ্ছৃঙ্খল মোটর বাইকারদের কাছে লাঞ্ছিত হয়।

এছাড়া এর আগে গত ৬ অক্টোবর শিল্পাঞ্চল খালিশপুরের ক্রিসেন্ট জুটমিল পূজা মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত করতে পারেনি প্রশাসন। যে কারণে সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মনে আশঙ্কা হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয় বলেও জানান তিনি।

মহানগরীর পূজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোনালী সেন বার্তা২৪.কমকে জানান, সাধারণ, গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ এ ৩টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিরাপত্তা নিশ্চত করা হয়েছে নগরীর মণ্ডপগুলোতে। এ বছর ১৫৪১ জন পুলিশ ও ১৪শ আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। মণ্ডপের বাইরেও পেট্রোলিং টিম নিয়মিত টহল দিচ্ছে। সাদা পোশাকেও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে থাকছে। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা কঠোরভাবে দমন করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর