ঢাকার সাভারে নিখোঁজের তিন দিন পর রাজিয়া সুলতানা (৮) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিশুটির আপন খালু নাজমুল হোসেন (২৪) কে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভারের হেমায়েতপুর ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম।
এর আগে রোববার (১১ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের তরফ রাজাঘাট এলাকার একটি বিল থেকে লাশটি উদ্ধার করে সাভার মডেল থানার পুলিশ।
শিশুটি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার হুলাশুগ্রামের আব্দুল জলিল মিয়ার মেয়ে। সে মা-বাবার সাথে সাভারের রাজাঘাট এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো। আটক মো. নাজমুল হোসেন (২৪) রংপুর জেলার পীরগাছা থানার মকরোমপুর এলাকার ওসমান গণির ছেলে। তিনি সাভারের রাজ ফুলবাড়িয়া রাজাঘাট এলাকার মোখলেছুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মা তার আপন ভগ্নিপতি নাজমুল হোসেনের কাছে কানের দুল বন্ধক রেখে টাকা নিলে পরবর্তীতে কানের দুল এবং পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। এরই মধ্যে গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার রাজাঘাট এলাকার বাসা থেকে শিশু রাজিয়া সুলতানা নিখোঁজ হয়। পরে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার সাভার মডেল থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়রি করলে হেমায়েতপুর ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ শিশুটির আপন খালু নাজমুল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে নাজমুলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করলে তরফ রাজাঘাট এলাকার একটি বিলের কচুরি পানার নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাভার মডেল থানার হেমায়েতপুর ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম কে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিখোঁজের দিনই শিশুটিকে হত্যা করে তার আপন খালু নাজমুল হোসেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।