করোনা সংক্রমণ রোধে সারা দেশের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জেও চলছে কঠোর লকডাউন। আর এই লকডাউনের মধ্যে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের খামারিরা। তবে শেষ পর্যন্ত জেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবুও আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে হাটে দাম ভাল পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তারা।
সারা বছর খামারে পরিশ্রম ও বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করার পর এখন পশুর বাজার ও দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। এজন্য গরুর হাট চালুর পাশাপাশি বিকল্প উদ্যোগ নেয়ার দাবি ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবারের ঈদুল আযহায় কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার। এর বিপরীতে জেলার ৫ উপজেলায় ছোট বড় ও পরিবারিক ভাবে মিলিয়ে ১৩ হাজার ১’শ ৬২টি খামারে ১ লাখ ৬৩ হাজার ১’শ ৮৬টি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ ভাঙ্গাব্রিজ এলাকার মেহেদী হাসান নামে এক খামারি বলেন, ১০ বছর ধরে ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরই গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করে থাকি। করোনায় গত বছর মোটা অংকের লোকসানের পর, ঘুরে দাঁড়াতে এ বছরও আমার খামারে পালন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গরু। বিনোয়োগ করা হয়েছে বড় অংকের টাকা। লাভ তো দূরের কথা, ব্যাপারী সংকটে এবারও গরু বিক্রি করতে পারবো কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে গত বছর সব গরুতে লোকসান হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প নামে একটি মোটাতাজা গরুতে ভাল লাভবান হয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক বলেন, করোনা কালে বেশি বিপর্যস্ত বিদেশি জাতের পালন করা বড় গরুর খামারিরা। জেলার বাইরে ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেটের বাজারে এসব গরু নিয়ে যেতে না পারলে, স্থানীয় বাজারে নায্য দাম পাওয়া নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, করোনার এ সময়ে অনলাইনসহ ছোট পরিসরে হাট চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতে কৃত্রিম উপায়ে কেউ যাতে গরু মোটাতাজাকরণ করতে না পারে তা নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।