১৫ জুলাই: কে কী বললেন

, জাতীয়

নিউজ ডেস্ক, বার্তা ২৪ | 2023-08-26 16:13:46

শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সরকার সর্বদাই জনগণের সেবক হিসেবে দেশ পরিচালনা করে, শাসক হিসেবে নয়। দেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত রাখতে একটি সুশৃঙ্খল ও অত্যাধুনিক সেনাবাহিনী অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ জন্যই মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বলীয়ান, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগে সদা প্রস্তুত, পেশাদার এবং দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন অফিসারদের হাতে এর নেতৃত্ব ন্যাস্ত করতে হবে। শৃঙ্খলাই সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড। সেই সঙ্গে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সৎ, নির্মোহ, ন্যায়পরায়ণ, জনবান্ধব, মানবিক গুণসম্পন্ন এবং সর্বপরি কর্মজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদানে সফল অফিসারদের খুঁজে বের করতে হবে।

আমি জেনে খুশি হয়েছি যে, সেনাবাহিনীর অফিসারদের পদোন্নতির জন্য টিআরএসিই-ট্রেস (টার্বুলেটেড রেকর্ড এন্ড কম্পারেটিভ ইভাল্যুয়েশন) পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, যা তাদের পেশাগত দক্ষতার বিভিন্ন দিকের তুলনামূলক মূল্যায়ন প্রকাশ করে। এর সাথে নির্বাচকমণ্ডলীগণ ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের ঊর্ধ্বে উঠে, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণ বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তিকেই পদোন্নতির জন্য নির্বাচিত করবেন বলে আমার বিশ্বাস। আপনাদেরকে সকল প্রভাব থেকে মুক্ত থেকে নিরপেক্ষতার সঙ্গে যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজে বের করতে হবে।

বিভিন্ন প্রকার নিযুক্তি যেমন-কমান্ড, স্টাফ, প্রশিক্ষকসহ বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ নিযুক্তির জন্য উপযুক্ত অফিসারদেরকে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। এতে সকলের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।

-ভাষণ, ভিডিও কনফারেন্স।

 

ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী

রোনা সংক্রমণের শুরু থেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়া কোনো দলই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। বিএনপি মুখে বড় বড় কথা বললে তাদেরকে জনগণের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, এখন রাজনীতি হচ্ছে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। মানুষের পাশে দাঁড়ানোই এখন একমাত্র রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মসূচি।

আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের রাজনীতি করে,অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে রাজনীতি বঙ্গবন্ধু শিখিয়েছেন তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তা করে যাচ্ছেন ।

লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্নআয় এবং প্রান্তিক মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের প্রয়াস মানবিকতার এক অনন্য নজির। ঈদ সামনে রেখে সারাদেশে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখতে হবে।

-ব্রিফিং, সরকারি বাসভবন।


জাহিদ মালেক
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী

দেশের শিক্ষা কার্যক্রমকে পুনরায় গতিশীল করতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকল নাগরিককে ক্রমান্বয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশ রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল নাগরিককে ক্রমান্বয়ে টিকার আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর রয়েছেন। বর্তমানে সরকারের হাতে ৪৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। এছাড়া, ১৪ জুলাই থেকেই ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়েছে।

চীন থেকে আগেই ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরকার হাতে পেয়েছে। আরো দেড় কোটি ভ্যাকসিন প্রতি মাসেই দেশে আসতে থাকবে। এদের পাশাপাশি অ্যাস্ট্রেজেনেকার ২৯ লাখ ডোজ বরাদ্দ রয়েছে। দেশে যারা ১ম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে ২য় ডোজের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন তারা এই অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন থেকে ২য় ডোজ নিতে পারবেন। এর পাশাপাশি ফাইজারের ভ্যাকসিনও আগামী মাসে আসবে। এই মুহূর্তে দেশে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন মজুদ রাখার সক্ষমতা স্বাস্থ্যখাতের হাতে রয়েছে। সুতরাং বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন এনে তা ভালোভাবে রেখে বন্টন করতে কোন সমস্যা হবে না।

-বিসিপিএস ভবনে ওপিডি উদ্বোধন, মহাখালী।


ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী

এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ ও পরীক্ষার ফিসহ সব ধরনের কার্যক্রম অনলাইনে শুরু হবে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হবে। ফলে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি বেশি নেয়ার সুযোগ থাকছে না। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এ কার্যক্রম যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে নজরদারি করবে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে নভেম্বরে এসএসসি ও ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির সার্বিক বিবেচনায় পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর পূর্ববর্তী জেএসসি বা জেডিসি অথবা এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে এবং অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে অথবা শুধুমাত্র সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে এসএসসি বা এইচএসসি অথবা সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

-ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন।


মোঃ তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মেঘনা নদীর দূষণরোধ, দখলমুক্ত এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা চারপাশসহ দেশের নদীগুলোতে পয়োবর্জ্য ও শিল্পবর্জ্যসহ অন্যান্য কলকারখানার বর্জ্য নিয়মিতভাবে নিক্ষেপ করায় নদীর পানি দূষিত করছে। এতে করে পানির গুণগত মান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মৎস্য প্রজনন ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সরকার ঢাকার চারপাশসহ অন্যান্য নদীগুলো দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে ।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরো বলেন, মেঘনা নদী যাতে দূষণ ও দখলের কবলে না পড়ে এবং ভবিষ্যত চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা যায় সে লক্ষ্যেই মাস্টার প্ল্যান করা হচ্ছে। এটি প্রণীত হলে মেঘনা নদীকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। ঢাকা শহরে পানি সরবরাহের লক্ষ্যে মেঘনা নদী থেকে পানি উৎলন করবে ঢাকা ওয়াসা। কিন্তু কি পরিমাণ পানি তোলা হলে নদী তার স্বকীয়তা হারাবে না এ সম্পর্কে আমাদের কোনো সুনির্দিষ্ট স্টাডি রিপোর্ট নেই। এই মাস্টার প্ল্যানে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এলক্ষ্যে পরামর্শকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

-অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।


মো. শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

আগামী ১০ দিনের মধ্যে আসবে অক্সফোর্ডের ২৯ লাখ ভ্যাকসিন। জুলাইয়ের শেষ দিকে আসবে ৩০ লাখ করোনার ভ্যাকসিন। আর আগস্টের শুরুতে কোভ্যাক্সের ১০ লাখ ডোজ করোনার টিকা আসবে।

২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে দেশে আসবে সাত কোটি করোনা ভ্যাকসিন। তিনি ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, দেশের ৮০ শতাংশ জনগণকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।

-ফেসবুক।


খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

গত ১২ বছরে নৌপথের অর্জন অবস্মরণীয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর আজন্ম স্বপ্ন সোনার বাংলা বিনির্মাণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলে ঐক্যবদ্ধ। আমরা বাংলাদেশকে আলোরপথে নিয়ে যেতে চাই। অনেক পথ পাড়ি দিয়েছি। এ আলোর পথের দিশারী হলেন দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতুর স্বপ্নদ্রষ্টা।

-নতুন ফেরি উদ্বোধন, শিমুলিয়াঘাট।


কে এম খালিদ
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

সরকার সারাদেশের সকল কোভিড হাসপাতালে করোনার সর্বাধুনিক চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। সেলক্ষ্যে হাসপাতালগুলোতে বাইপ্যাপ মেশিন, হাই ফ্লো নজেল ক্যনোলা মেশিন সংযোজন করা হচ্ছে।

করোনার সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে সরকারের একার পক্ষে হাসপাতালসমূহে আইসিইউ বেডসহ এত বিপুল সংখ্যক বাইপ্যাপ, হাই ফ্লো নজেল ক্যনোলা মেশিন সুবিধা পৌঁছে দেয়া সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি এসব মেশিন সরবরাহে সমাজের বিত্তবান ও সচ্ছল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

-ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল।


মোঃ আতিকুল ইসলাম
মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি)

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও আন্তরিক সহযোগিতার ফলেই অল্প সময়ের মধ্যে প্রস্তুতকৃত দেশের সবচেয়ে বড় এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’ এ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু হয়ে তা চলমান রয়েছে।

এই হাসপাতালের জমি, ভবন, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। ৭ দশমিক ১৭ একর জমিতে তৈরি ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট ডিএনসিসির একটি বিপণীবিতানকে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’ এ রূপান্তর করা হয়েছে।

এই ভবনটি মার্কেটের জন্যই করা হয়েছিল। এখানে দোকান বরাদ্দ থেকেই বছরে প্রায় একশ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। নগরবাসীকে সেবা দিতেই এটিকে হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে।

-ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল।


অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য

প্রত্যেকটি ধর্মে বলা হয়েছে, মৃত্যুর পরে কেউ কোনো সম্পত্তি পরকালে নিয়ে যেতে পারবে না। সেই কথা স্মরণ রেখে মহামারী করোনার এই দুর্যোগে দল-মত নির্বিশেষে সমাজের সকল উচ্চবিত্তদের উচিত খেটে খাওয়া ও অসচ্ছল মানুষের সহযোগিতা করা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সকল দুর্যোগ সফলভাবে মোকাবেলা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, এদেশের কেউ না খেয়ে থাকবে না। সেই লক্ষ্যে মহামারী করোনাভাইরাস এর এই দুর্যোগেও শেখ হাসিনার নির্দেশে আমাদের দলের সকল নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে কাজ করছে। তবে এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি সমাজের উচ্চবিত্তদের জনকল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে।

-ঈদ উপহার বিতরণ, উত্তরা।


গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা

বাজেট তৈরি হয় দেশের জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। এ টাকার মালিক দেশের জনগণ। তাই সেখান থেকে টাকা দিতে হবে। তাহলে মানুষ বাঁচবে। লকডাউনও সফল হবে। মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের চেয়ে মানুষের জীবন বাঁচানো জরুরি।

লকডাউন সফল হয়নি, করোনার সংক্রমণ বেড়েছে, বেড়েছে মৃত্যুর হারও। দারিদ্রের কশাঘাত থেকে দরিদ্রদের বাঁচাতে সরকারকে পরিবার প্রতি অন্তত ১০ হাজার টাকা করে দিত হবে।

৬ লাখ কোটি টাকার বিশাল বাজেট আমাদের। বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে দেশে। কিন্ত করোনায় কর্মহীন পরিবারগুলো মারাত্মক অর্থ সংকটে পড়েছে। এক বছর আগেই আমরা বলেছিলাম লকডাউন দেয়ার আগে মানুষের খাবার, অষুধ এবং জরুরি নিত্যপণ্য নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া কখনোই লকডাউন সফল হবে না।

-খাবার বিতরণ, মোহাম্মদপুর।


নজরুল ইসলাম খান
স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিএনপি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা ঘটনা ঘটবে, আমরা কয়েকদিন হৈচৈ করব তারপর সবাই আবার চুপ করে যাব। সেটা না, এটার একটা স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা প্রস্তাব করেছি যে, একটা জাতীয় মানদণ্ড আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার যে, এই ধরনের দুর্ঘটনায় শ্রমিকরা কী ক্ষতিপূরণ পাবেন। আহতরা কী ক্ষতিপূরণ পাবেন, নিহতরা কী ক্ষতিপূরণ পাবেন। মালিকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা হবে এবং যারা এটার পরিদর্শনের দায়িত্বে তাদের কোনো অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা হবে- সব কিছু তার মধ্যে থাকা দরকার। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও কনভেনশন ১২১, তার প্রাসঙ্গিক রেকমেন্ডেশন, ১৯৫৮ সালের মারাত্মক দুর্ঘটনা আইন এবং রানা প্লাজার (সাভার) দৃষ্টান্ত অনুযায়ী এই জাতীয় মানদণ্ড প্রণয়ন করার জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।

-সংবাদ সম্মেলন।


জেবেল রহমান গানি
চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)

চামড়া রফতানির অনুমতি না দিলে এবারও কোরবানির সময় মুনাফাখোর চক্র সিন্ডিকেট তৈরি করবে। তাই এখনই সরকারের উচিৎ কোরবানির চামড়া সিন্ডিকেট রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া। যাতে গত দুই-তিন বছরের মতো পশুর চামড়ার সঠিক দাম পাওয়া থেকে দরিদ্ররা বঞ্চিত না হন।

কোরবানির পশুর চামড়ার টাকা গরিবের হক। অথচ কয়েক বছর ধরে এদেশে কোরবানির সময় পশুর চামড়া ন্যায্যমূল্যে বিক্রি না হওয়ায় গরিব-দুঃখি, অসহায় ও দুস্থরা তাদের প্রাপ্য হক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা দুঃখজনক।

-বিবৃতি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর