চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম বাজারগুলোতে ফজলি আমের ক্রেতা না থাকায় দামে ধস নেমেছে। প্রতি মণ আম বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। আর মণে ৪০ কেজির জায়গায় ৫০ কেজি দিয়েও আশানুরুপ ক্রেতা পাচ্ছেন না আম চাষিরা।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) দেশের সর্ববৃহৎ কানসাট আম বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা কম থাকায় আমের দাম অত্যন্ত কম।
এ সময় ফজলি আম বিক্রি করতে আসা চাতরা এলাকার নাসিম জানান, সকালে এক ভ্যান আম নিয়ে এসেছি। ক্রেতারা আমের দাম বলছে না। দুপুরের দিকে মাত্র সাড়ে ৮'শ টাকা মণ দাম বলে। কিন্তু এই দামে বিক্রি করলে আমার মণ প্রতি প্রায় ৩০০ টাকা লোকসান হবে। তাই আম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
মুসলিমপুর এলাকার জাগাঙ্গীর জানান, আমার বাড়ি থেকে কানসাট বাজারে ৪ মণ আম আনতে প্রায় ৬০০ টাকা খরচ হয়। বাজারে ফজলি আমের দর নিম্নে ৭০০ ও ঊর্ধ্বে ৮'শ টাকা। সবমিলিয়ে ৪ মণ আমে প্রায় ২ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। একই কথা বললেন শ্যামপুর এলাকার আমিরসহ প্রায় অধিকাংশ ফজলি আম চাষিরা।
এদিকে আম্রপালি আম চাষি ইমরুল জানান, আমি ৪ মণ আম্রপালি আম নিয়ে এসেছি। প্রতি মণ আম ২৪০০ টাকায় বিক্রি করেছি। আম্রপালির প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
চট্রগ্রাম থেকে আসা আম ব্যাপারী হাবিবুর জানান, লাভের আশা নিয়ে কানসাট বাজারে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এসেছি। কিন্তু ফজলি আমের বাজার চাহিদা কমে গেছে। আর এই অঞ্চলে ফজলি আমের আবাদ বেশি। এখানে আম্রপালি চাষ হয় না বললেই চলে। ফজলি আমের দাম কম হওয়ায় অন্য বছরের মত ব্যবসা হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে আড়াই লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে শুধু কানসাট বাজারে প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার আম বেচা-কেনা হত। কিন্তু এবার বেচা-কেনা নেমে এসেছে অর্ধেকে।