কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং আর ৩ জনের করোনার উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়া ডেডিকেটেড হাসপাতালে মারা যান।
১৯ জুলাই (সোমবার) সকাল ৮টা থেকে আজ ২০ জুলাই (মঙ্গলবার) সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে এদের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার বেড়ে ৩৩.৩৬ শতাংশ হয়েছে।
কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেডেট জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপ অব্যাহত আছে জানিয়ে তত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন জানান, ২শ’ বেডে করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে এখন ভর্তি আছে ২৫৩ জন। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত রোগীই ১৮২ জন। বাকিরা করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। প্রায় ৭০ শতাংশ রোগীদের অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে।
এদিকে নতুন এক হাজার ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪২১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩১ জনে। শনাক্ত ৪২১ জনসহ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৫৯২ জনে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৪২১ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ১৩৬ জন, দৌলতপুরের ৭৫ জন, কুমারখালীর ৭৩ জন, ভেড়ামারার ৫৪ জন, মিরপুরের ৫৪ জন ও খোকসার ২৯ জন রয়েছেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল ইসলাম জানান, গত ৭ দিনেই কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১ হাজার ৭১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত শুধু করোনা আক্রান্ত ৪৩২ জনের মৃত্যু হলো।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইএইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত জেলায় ৮০ হাজার ৪৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৭৬ হাজার ২৪৭ জনের। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ১৭৫ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৫৪ জন ও হোম আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ৯২১ জন।
এদিকে, ঈদকে সামনে নিয়ে রাজধানী ঢাকা থেকে জেলার মানুষ বাড়িতে আসছেন। শহরের দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভিড় বাড়ছে। শহরে ও গ্রামে অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।