রংপুর বিভাগে করোনায় একদিনে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৭৪ জনের। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় আক্রান্তের হার ২৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এছাড়া ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলোতে বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু মো. জাকিরুল ইসলাম।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের চারজন, দিনাজপুরের তিনজনসহ রংপুর ও নীলফামারীর দুইজন করে রয়েছেন।
এ সময়ে বিভাগে ১ হাজার ৯৬১ নমুনা পরীক্ষা করে ৪৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরের ১২৩ জন, দিনাজপুরের ৯৬ জন, কুড়িগ্রামের ৫৭ জন, নীলফামারীর ৫১ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৪৮ জন, গাইবান্ধার ৪৮ জন, পঞ্চগড়ের ৪২ জন ও লালমনিরহাটের ৯ জন রয়েছেন।
এদিকে বিভাগে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬৬ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলার ২৪৪ জন, রংপুরের ১৬০, ঠাকুরগাঁওয়ের ১৪৫, নীলফামারীর ৫৪, লালমনিরহাটের ৪৬, পঞ্চগড়ের ৪১, কুড়িগ্রামের ৩৯ ও গাইবান্ধার ৩৭ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮২৫ জন।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৭ হাজার ৯৯৫ জনের। এর মধ্যে দিনাজপুুর জেলায় ১১ হাজার ৩৯৩ জন, রংপুরের ৮ হাজার ৩৪৬ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৫ হাজার ২৭৭ জন, গাইবান্ধার ৩ হাজার ২১১ জন, নীলফামারীর ২ হাজার ৯০৭ জন, কুড়িগ্রামের ২ হাজার ৭৯৪ জন, লালমনিরহাটের ২ হাজার ২ জন এবং পঞ্চগড়ের ২ হাজার ৬৫ জন রয়েছেন।
সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে চলার বিকল্প নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।