তৎপর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

, জাতীয়

নিউজ ডেস্ক, বার্তা ২৪ | 2023-08-22 22:31:12

করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর দেখা গেছে। কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী। প্রয়োজন ছাড়া বের হলে করা হচ্ছে মামলা-জরিমানা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এদিন সড়কে বের হয়েছেন স্বল্পসংখ্যক মানুষ। পাড়া-মহল্লায় দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লা ও বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। রাজধানীর প্রায় সব সড়কেই রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট। সরকারি আদেশ অমান্য করে প্রধান রাস্তায় খুব কম মানুষই আসছেন। তবে বিভিন্ন মহল্লার ভেতর কিছু মানুষ প্রয়োজন ছাড়াই ঘোরাঘুরি করছেন।

রাজধানীর কাটাবন এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সড়কে চলাচলকারী যানবাহনকে তল্লাশি ও জবাবদিহির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া যানবাহনে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে।

আব্দুল্লাহপুরে ঢাকার প্রবেশ মুখের সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট থাকতে দেখা গেছে। খুব কম সংখ্যক যানবাহন চলাচল করলেও সেগুলো চেকপোস্টে থামিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইছেন পুলিশ সদস্যরা। জরুরি সেবায় নিয়োজিত পরিবহনগুলো ছেড়ে দেওয়া হলেও অকারণে বের হওয়া যানবাহনগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা (মামলা) নিচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।

উত্তরা হাউজবিল্ডিং, আজমপুর, বিমানবন্দর এলাকায় স্থাপিত চেকপোস্টে একইভাবে পুলিশ সদস্যদের তৎপর থাকতে দেখা গেছে। তবে কুড়িল, বাড্ডা হয়ে রামপুরা পর্যন্ত সড়কে সকাল থেকে চেকপোস্টগুলোতে তৎপরতা থাকলেও দুপুরে কিছুটা ঢিলেঢালা ভাব দেখা যায়। তবে জুমার নামাজের পর থেকে আরও তৎপর হতে শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা। 

সকাল থেকেই মিরপুর এলাকার মোড়ে মোড়ে বসেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট। এসব চেকপোস্টে পরিবহন দেখলেই গতি রোধ করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানতে চাচ্ছেন কেন বের হয়েছেন, কোথায় যাবেন। সুনির্দিষ্ট কারণ ও প্রমাণ দিতে পারলেই পরিবহনগুলো ছাড়া হচ্ছে চেকপোস্ট থেকে।

কাফরুল থানার সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল জলিল গণমাধ্যমকে বলেন, লকডাউনে মানুষজন অনেক কম ঘর থেকে বাইরে আসছেন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। সরকারি আদেশ অমান্য করলেই করা হচ্ছে মামলা ও জরিমানা। তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত মামলা হয়েছে সাতটি। জরিমানা করা হয়েছে ২১ হাজার টাকা। এছাড়াও ডাম্পিং করা হয়েছে একটি মোটরসাইকেল ও ছয়টি মোটর চালিত রিকশা।

এদিকে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে আগের রাতে ঢাকায় ফেরা অনেককে বিপাকে পড়তে দেখা যায়। গণপরিবহন না থাকায় রাজধানীর বাসা-বাড়িতে যাওযার বাহন খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

আজ ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে ১৪ দিনের 'কঠোর লকডাউন'। এ লকডাউন বহাল থাকবে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। এর আগে ঈদুল আজহার সময় মানুষের চলাচল ও পশুর হাটে কেনাবেচার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করেছিল সরকার। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ঈদের আগেই ১৩ জুলাই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর