যাত্রীর অপেক্ষায় দৌলতদিয়া ঘাটের হকাররা

, জাতীয়

সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী | 2023-08-19 06:48:09

করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ। শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এই কঠোর বিধি-নিষেধ চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। বিধি-নিষেধ আরোপ থাকায় দেশের সব সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিল্প-কলকারখানা রয়েছে বন্ধ। সেই সাথে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহনও।

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রী নেই রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের এ ঘাট হয়েই ঢাকার প্রবেশ করে। যাত্রী না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে ঘাটের হকাররা। বিধি-নিষেধের কারণে বন্ধ রয়েছে এদের বেচাকেনা। যাত্রী না থাকলেও যাত্রীর অপেক্ষায় প্রহর গুণছে তারা।

ঘাট সংশ্লিষ্ট হকারদের আয়-উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন এই ঘাট। ঘাটে যাত্রী বা যানবাহন পারাপার বন্ধ থাকলে এ সকল হকারদের বেচাকেনাও বন্ধ থাকে। ফলে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করতে হয় তাদের। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাতে হয়।

দেশে ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধের তৃতীয় দিনে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি না থাকায় এ সকল হকাররা এখন বেকার হয়ে পড়েছে। হাঁকডাক নেই হকারদের। ঘাটে নেই কোন কোলাহল। নিরব-নিস্তব্ধ চিরচেনা দৌলতদিয়া ঘাট।

রোববার (২৫ জুলাই) দুপুরে দৌলতদিয়া ৫ নং ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের জন্য চাতক পাখির মতো ফেরির পন্টুনের ওপর বসে আসে ভ্রাম্যমাণ পেয়ারা ও ডিম বিক্রেতা।

ডিম বিক্রেতা সলেমান হোসেন বার্তা২৪.কম কে বলেন, আমার মূল পেশা এটাই। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফেরিতে ফেরিতে ঘুরে সেদ্ধ ডিম বিক্রি করি। ডিম বিক্রি করে যে অর্থ আয় হয় তাই দিয়েই আমার ৫ সদস্যের পরিবারের সংসার চালাতে হয়। করোনার কারণে লকডাউন থাকায় পরিবহন বন্ধ। তাই কোন যাত্রী নেই। তারপরেও অপেক্ষায় রয়েছি। দু-এক জন যারা নদী পার হচ্ছে তাদের কাছে বিক্রির চেষ্টা করছি।

পেয়ারা বিক্রেতা মিন্টু মোল্লা বার্তা২৪.কম কে বলেন, আমি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ঘাটে মৌসুমী ফল বিক্রি করে আসছি। এখান থেকে যে আয় হয় তাতেই চলে আমার সংসার। কিন্তু লকডাউনের কারণে এখন যাত্রী নেই। যাত্রী না থাকায় বেচাকেনাও নাই। তবুও অপেক্ষায় রয়েছি যাত্রীর আশায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর