প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফের প্রণোদনা চাইবে পোশাকশিল্পের মালিকেরা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 23:53:00

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হলেই সরকারের কাছে আবারও প্রণোদনা চেয়ে আবেদন করবে রফতানিমুখী পোশাকশিল্পের মালিকেরা।

সংগঠনটির ওয়েবসাইটে শনিবার (২৪ জুলাই) দেওয়া এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে। নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে করোনা সংক্রমণ রোধে ঈদের পর শুরু হওয়া ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধে কারখানা বন্ধ রাখতে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রণোদনার প্রসঙ্গে সেলিম ওসমান চিঠিতে লেখেন, আমরা বর্তমানে যে কঠিন সময় অতিবাহিত করছি, সে বিষয়ে সরকার অবগত। চলতি বিধিনিষেধ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুনরায় প্রণোদনা চেয়ে আবেদন করা হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবেন।

করোনার বর্তমান ধরনটি মারাত্মক উল্লেখ্য করে তিনি চিঠিতে আরও লেখেন, সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিল্পকারখানাও এর আওতার বাইরে নয়। যদিও সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যাংকিং ও আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের জন্য বন্দর সংশ্লিষ্ট সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকছে। মহামারি থেকে দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য আর্থিক ক্ষতি হবে জেনেও বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। ১৪ দিনের এই বিধিনিষেধে রফতানি পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটবে তা ঠিক, কিন্তু ভবিষ্যতে করোনামুক্ত পরিবেশে ব্যবসা করার জন্য এই ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। এ সময় তৃতীয় পক্ষের পরামর্শ না নিয়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিধিনিষেধ মেনে চলতে কারখানার মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চে করোনার কারণে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশ আসতে থাকে। ওই সময় সরকার রফতানিমুখী শ্রমিকদের তিন মাসের (এপ্রিল, মে ও জুন) মজুরি দেওয়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এরপরে পোশাকশিল্পের মালিকেরা আরও এক মাসের মজুরি দেওয়ার জন্য ঋণ দাবি করেন। সরকারও তা মেনে নেয়। ওই সময় তহবিলের আকার বেড়ে ৯ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা দাঁড়ায়। তবে চতুর্থ মাসের বেতনের জন্য ঋণের ক্ষেত্রে মালিকদের সুদ দিতে হয় সাড়ে ৪ শতাংশ। বাকিটা সরকার ভর্তুকি দেয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর